সরকারের মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : সাখাওয়াত
Published: 3rd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ সাক্ষী এই জুলাই বিপ্লব কিন্তু একদিনে হয় নাই। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা, হত্যা, গুম, খুন অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশের মানুষ চূড়ান্তভাবে এই জুলাই বিপ্লব সুসংগঠিত করেছিল।
জুলাই বিপ্লবের পিছনে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে ভূমিকা পালন করেছে সেভাবে বিরোধী দলের আন্দোলন হিসাবে বিএনপি ও ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা বলব এই জুলাই বিপ্লবে বিএনপি ও বিএনপি মনা নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে।
আপনারা শুনতে পারবেন যে ছাত্র আন্দোলনে হয়েছিল সে আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সে হত্যার মধ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠনের ৪২২জন নেতাকর্মী খুন হয়েছিল। শেখ হাসিনা খালি বিএনপি'র এই ৪২২ জন নেতাকর্মীদেরকে খুনী করেননি কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে তারা আহত ও পঙ্গুত্ব করেছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল এগারোটায় খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ১৩ জুলাই থেকে যখন নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে শুরু হয়েছিল তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রশাসন এবং খুনি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান তাদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে দমন করার জন্য সেদিন থেকে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল। ওই আন্দোলনের সময় শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্যে ৯৫% ই ছিল বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছিল।
১৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বায়ান্নটি মামলা হয়েছে সেই সকল মামলাতে আমি সহ বিএনপি'র গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদেরকে সকল মামলা আসামি করা হয়েছিল।
আর যদি এই জুলাই বিপ্লব না ঘটতো আমরা যদি বিজয়ী অর্জন করতে না পারতাম তাহলে সেই মামলায় আমরা কোনদিন জেল থেকে বের হতে পারতাম না। সুতরাং আমরা বলতে চাই জুলাই বিপ্লবের অর্জন আমরা এককভাবে নিতে চাই না।
শুধুমাত্র ফ্যাসিস সরকার ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলেই এই জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনের সাথে ছিল। সেই জুলাই বিপ্লবের পার্শ্ববর্তী দেশের সমর্থন থাকার পরও এদেশের জনগণ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দিয়ে এদেশকে আবারও নতুন করে স্বাধীন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল সেই অন্তবর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। এদেশের মানুষ বিগত ১৬টি বছর তাদের ভোটের অধিকার পাইনি।
দেশের জনগণকে হত্যা গুম খুন ও মামলা মাদকরা দিয়ে তাদের কন্ঠকে রোধ করে রেখেছিল। সেই ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশকে উত্তোলন করে দ্রুত সময়ের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এদেশে জনগণকে তাদের ভোটার অধিকার তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া।
এদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি সরকারের মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা বিএনপি'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওরা বলতে চাই সেই ষড়যন্ত্র ফ্যাসিসদের।
ফ্যাসিসদের সাথে আঁতাত করে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এই সকল ষড়যন্ত্রকে নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশ মানুষ নস্যাৎ করে দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ভোটের মাধ্যম বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবেন ইনশাল্লাহ।
ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ( ড্যাব ) নারায়ণগঞ্জ শাখার কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য ডাঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় , প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সরক র ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম দ র ন র য়ণগঞ জ ষড়যন ত র সরক র র ব এনপ র কর ছ ল হয় ছ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
ঢাকার সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আরিফুর রহমান সাদ্দাম নামে এক তেল ব্যবসায়ী। তার দাবি, একটি চক্র নিয়মিতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন।
সাদ্দাম জানান, তার পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে সদরঘাটে তেলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা ঘাট ফেডারেশনের সভাপতি এবং একসময় তেল ব্যবসায়ী সমিতিরও সভাপতি ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান
কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর যখন দেশজুড়ে সুশাসনের প্রত্যাশা তৈরি হয়। তখনই সদরঘাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে একটি চক্র।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সুমন ভূইয়া, জাকির ও গিয়াস নামে তিন ব্যক্তি নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হামলা চালান। আমার তেল ট্যাংকারে হামলা, কর্মচারীদের মারধর এবং বড় ভাইকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, আপনারা সত্য তুলে ধরুন। যেন আমরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়া অভিযোগগুলো নাকচ করে বলেন, “আমি এসব অভিযোগকে পাত্তাই দিচ্ছি না। যারা এসব বলছে, তারা চায় বিএনপির বদনাম হোক।”
তিনি আরো বলেন, “সদরঘাটে সেনাবাহিনী টহল দেয়। এখানে কারো চাঁদাবাজি করার ক্ষমতা নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন একজন মানুষ এবং এলাকার মানুষ জানে আমি কেমন। বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান সাদ্দাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যদি যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কিছু করার অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমরা কোকো কোম্পানি পরিচালনা করি, যেটি তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠানের আওতায় ছিল। এজন্য এক সময় আমাদের জঙ্গি হিসেবেও দেখা হত।”
তিনি দাবি করেন, “কিছু আওয়ামী লীগপন্থি ব্যক্তি ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে, যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমার ছোট ভাইকে র্যাব-ডিবি দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ সে সাদ্দাম নয়, সাব্বির। আমি নিজে এলাকায় আসতে পারিনি, ভয় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি ২৮ তারিখে এই থানায় যোগদান করেছি। তাই অভিযোগটি সম্পর্কে আমি অবগত নই।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী