এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিন ও গ্রেনাডা টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ। উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ড শুরু আজ থেকে। রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল।এজবাস্টন টেস্ট–৩য় দিন

ইংল্যান্ড–ভারত
বিকেল ৪টা, সনি স্পোর্টস টেন ১ ও টেন ক্রিকেট

উইম্বলডন

৩য় রাউন্ড
বিকেল ৪টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১ ও ২

গ্রেনাডা টেস্ট–২য় দিন

ওয়েস্ট ইন্ডিজ–অস্ট্রেলিয়া
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

১ম কোয়ার্টার ফাইনাল
ফ্লুমিনেন্স–আল হিলাল
রাত ১টা, ডিএজেডএন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যালারি কায়ার আলোকপথ

আলো ও ছায়ার বুননে শিল্পের যে রূপরেখা আঁকা হয়, তার গভীরতায় ডুবে থাকা এক বিশেষ উপলক্ষ হলো ‘গ্যালারি কায়ার ২১তম বার্ষিকী’। ঢাকার অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি তাদের যাত্রার দুই দশকেরও বেশি সময় উদযাপন করছে এক অনন্য প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে। যেখানে স্থান পেয়েছে ৩৫ জন আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পীর অসামান্য কাজ। ১৯৫২ থেকে ২০২৫– সাত দশকের শিল্পচর্চার বিস্তীর্ণ আয়তন ও গহিন ভাবনা জগৎকে ধারণ করেছে এই প্রদর্শনী, যা চলছে গ্যালারির নিজস্ব প্রাঙ্গণে, ২৭ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত।
এই বিশেষ প্রদর্শনী যেন কায়ার দীর্ঘ শিল্পযাত্রার এক সজীব অনুরণন। একদিকে যেমন এখানে আছে বিখ্যাত শিল্পীদের মাস্টারপিস, তেমনি রয়েছে তরুণ প্রজন্মের উদ্দীপনামূলক কাজও। একটি প্রদর্শনী শুধু চোখ নয়, মনকে ছুঁয়ে যায়, যদি সেখানে গল্প থাকে– রঙে, রেখায়, রূপে ও অভিব্যক্তিতে। গ্যালারি কায়ার এই আয়োজন সেই গল্পেরই নাম।
প্রদর্শনীর গ্যালারিতে হাঁটতে হাঁটতে দেয়ালে ঝোলানো কাজগুলো দেখে যেন মনে হয় প্রতিটি শিল্পকর্ম সময়ের প্রতিধ্বনি। 
চোখে পড়ে মোহাম্মদ ইকবালের ‘আননোন ফেস’ (২০১৮)। ২২x৩০ ইঞ্চির এই মিশ্র মাধ্যমের চিত্রকর্মটি যেন এক অপার প্রশ্নচিহ্ন। এক অজানা মুখাবয়ব, যার গভীর চাহনিতে ধরা পড়ে দর্শকের নিজস্ব আত্মদর্শনের ছায়া। টেক্সচার ও রঙের স্তরবিন্যাসে মুখটি হয়ে ওঠে আত্মানুসন্ধানের এক প্রতীক। আহমেদ শামসুদ্দোহার ‘সুন্দরবন’ (২০২৪) ছবিটি ক্যাটালগের পেছনের প্রচ্ছদে। সবুজ, ছায়া ও আলোয় নির্মিত ৩০x৩০ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক চিত্র প্রকৃতির সত্তা তুলে ধরে। সুন্দরবনের প্রাণবন্ততা যেন ক্যানভাস ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে দর্শকের মনে।
অন্যদিকে আবুল বারক আলভীর ‘ফ্রম দ্য নেচার-১’ (২০২৫) ছবিটি বিমূর্ততার এক অপূর্ব ব্যঞ্জনা। ৩০x৪২ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক ক্যানভাসে জৈবিক রূপ ও প্রকৃতির শক্তি এক অনন্ত প্রবাহের মতো গলে পড়ে। শিল্পীর তুলির টানে সেখানে ধরা পড়ে প্রকৃতির মৌল গঠন ও আত্মা। স্মৃতি ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রদর্শনীতে রয়েছে একাধিক অনন্য কাজ। দেবদাস চক্রবর্তীর ‘লাভ’ (১৯৯২) নামে ক্ষুদ্র কালিচিত্রটি (৫x৮ ইঞ্চি) এক নিভৃত প্রেমের মুহূর্তকে জীবন্ত করে তোলে। এই ছবিতে ভালোবাসা শব্দহীন কিন্তু গভীর। ফরিদা জামানের ‘সুফিয়াস বার্ড’ (২০২৫) আকারে যেমন বিশাল (৩৫.৫x৩৫.৫ ইঞ্চি), তেমনি ভাবগত দিক থেকে আধ্যাত্মিক। উড়ন্ত পাখির রূপকতায় শিল্পী যেন জীবনের মুক্তি ও আত্মার পরিশুদ্ধির কথা বলেন, রং ও রূপের পরাবাস্তব ব্যবহারে।
শিল্পী হাশেম খানের ‘ক্রেন’ (২০২৪) ছবিতে দেখা যায় রাজসিক পাখির দৃশ্য, ৪২x৩০ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক ক্যানভাস যেন প্রকৃতির নরম কোমলতা ও মহিমার প্রতিচ্ছবি। প্রাণবন্ত রেখায় ধরা পড়ে জীবনের ছন্দ।
প্রদর্শনীর পুরোনো চিত্রকর্মের মধ্যে মুর্তজা বশীরের ‘ব্লাডি ২১স্ট’ (১৯৫২)– এক জ্বলন্ত সামাজিক-রাজনৈতিক চেতনার দলিল। ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাস এখানে ফিরে আসে কালো রেখার উত্তাল শক্তিতে।
কাইয়ুম চৌধুরীর ‘ফ্রিডম ফাইটার’ (১৯৯১) ছবিটি ২২x১৬ ইঞ্চির এক অসামান্য পেন ও ইঙ্কের কাজ। স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নেওয়া এক মুখ বা মুহূর্ত যেন এখানে জীবন্ত হয়ে ওঠে; দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ এখানে আঁকা হয় নিঃশব্দ শ্রদ্ধায়। সমসাময়িক ধারায় রঞ্জিত দাসের ‘ফিলিং’ (২০২৪) ছবিটি বিমূর্ত শিল্পের এক সাহসী অভিযাত্রা। ৩০x৩০ ইঞ্চির ক্যানভাসে ধরা পড়ে অন্তর্গত আবেগের রং ও টেক্সচারের বহমানতা– যা দর্শকের মনে এক অন্তর্নিহিত অনুরণন সৃষ্টি করে।
এই ২১ বছরের যাত্রায় গ্যালারি কায়া শুধু প্রদর্শনীর আয়োজনই করেনি, বরং শিল্পকে ঘিরে গড়ে তুলেছে এক ধরনের পরিশীলিত ও সহমর্মী পরিবেশ। শিল্পী রঞ্জিত দাস বলেন, ‘গ্যালারি কায়া নবীন শিল্পীদের যেমন জায়গা দিয়েছে, তেমনি প্রবীণ ও কিংবদন্তি শিল্পীদেরও প্রাপ্য মর্যাদায় স্থান দিয়েছে। এই ভারসাম্যই কায়াকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে।’
এ ছাড়াও প্রদর্শনীর সমন্বয়ক রাজেন জেন বলেন, শিল্পের ভাষা সময়ের চেয়ে বড়। সেই ভাষাকে ধারণ করে গ্যালারি কায়া ২১ বছর ধরে যে শিল্পভুবনের বিস্তার ঘটিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই প্রদর্শনী শুধু একটি গ্যালারির বর্ষপূর্তিই নয়, এটি একান্তভাবেই দেশের শিল্পচর্চার এক অনন্য উদযাপন।
প্রদর্শনীতে যেসব বরেণ্য শিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুস শাকুর শাহ, আবুল বারক আলভী, হামিদুজ্জামান খান, হাশেম খান, কনকচাঁপা চাকমা, কাজী আব্দুল বাসেত, মুর্তজা বশীর, রঞ্জিত দাসসহ অনেকেই।
তাদের চিত্রকর্ম এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে– তেলরং, অ্যাক্রেলিক, জলরং, চারকোল, কালি ও কলম, মিশ্র মাধ্যম, কাঠছাপ এবং ক্যানভাস। প্রতিটি মাধ্যমেই উঠে এসেছে শিল্পীর নিজস্ব ভাষা ও চিন্তাজগতের প্রতিফলন।
এই আলোকময় পথচলায় গ্যালারি কায়া শুধু শিল্প প্রদর্শনের একটি স্থান হয়ে ওঠেনি; বরং হয়ে উঠেছে সময়ের সাক্ষী। উদ্যোক্তারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন দর্শক, সংগ্রাহক, সমালোচক ও প্রয়াত শিল্পীদের, যাদের অবদান ছড়িয়ে আছে গ্যালারির প্রতিটি দেয়ালে। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থাইল্যান্ডের মেলায় ৩০ লাখ ডলারের রপ্তানি আদেশ পেল রিমার্ক
  • ‘মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন-২০২৫’ আয়োজন করল ইউসিবিডি
  • গ্যালারি কায়ার আলোকপথ
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন
  • শুরু হয়েছে ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজে প্রফেশনাল মাস্টার্স, আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩ জুলাই ২০২৫)
  • বার্জার পেইন্টসের ৫২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২ জুলাই ২০২৫)