গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইয়াসিন মোল্লা নামে (১৮) এক ট্রাক হেলপারের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অপর এক ট্রাক চালক।

শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার ডুমদিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ট্রাক হেলপার ইয়াসিন মোল্লা গোপালগঞ্জ জেলা শহরের মৌলভীপাড়া এলাকার শ্যামল মোল্লার ছেলে।

ওসি মির মো.

সাজেদুর রহমান জানান, যশোরের কেশবপুর থেকে ড্রাগন ও পেয়ারা ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে ফেরার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়ায় এলাকায় পৌঁছালে তাদের ট্রাকসহ অন্য একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে। এসময় ইয়াসিন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি মেরামতের চেষ্টা করছিলেন।

হঠাৎ করে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী একটি বাস এসে ট্রাকের পিছনের ধাক্কা দিলে চাপা পড়ে ইয়াসিন ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক গুরুতর আহত হন। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইয়াসিন মারা যান। আহত অপরজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ