মোটরসাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা
Published: 4th, July 2025 GMT
আড়াইহাজার বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বাবা। শুক্রবার সকালে ছেলে ইয়াসিন মিয়া তার বাবা মাহবুব মিয়াকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে ইয়াসিন পলাতক।
স্থানীয়রা জানান, মাহবুব মিয়া এলাকায় কৃষিকাজ করে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ছেলে বাবার কাজে সহযোগিতা না করে তার বখাটে বন্ধুদের নিয়ে দিন পার করত। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছেলে ইয়াসিন তার বাবার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনার আবদার করে। কৃষক বাবার পক্ষে মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। এর পরও ইয়াসিন মোটরসাইকেল কেনার টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। শুক্রবার সকালেও ইয়াসিন মোটরসাইকেল কেনার টাকা দাবি করলে দিতে অস্বীকৃতি জানান বাবা মাহবুব। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইয়াছিন উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে হাতুড়ি দিয়ে তার বাবাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে বাবা মাহবুব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। ইয়াসিন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মাহবুবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছেলেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। অভিযুক্ত ছেলে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ট য় হত য ব ব ক হত য ন র য়ণগঞ জ ম হব ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’