ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের সঙ্গে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ ছন্দেও আছেন তিনি। নিউ ইয়র্কে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে লস ব্লাঙ্কোসরা।

তার আগে ভিনিসিয়াস  জুনিয়রের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা একটা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে পোজ দিয়ে মায়ামি বসবাস করা ভেনেজুয়েলান মডেল ও সোস্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ভিনি ছবি পোস্ট করেছেন।

ওই নারীর নাম ইসাবেলা লাদেরা। বয়স ২৩ বছর। যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তাতে দেখা গেছে- একসঙ্গে ভিনিসিয়াস ও ইসাবেলা একটা জায়গা থেকে বের হচ্ছেন। ইসাবেলার পেছনে আছেন ভিনি জুনিয়র।

এরপরই ইসাবেলার সঙ্গে ভিনির প্রেমের গুঞ্জন বের হয়েছে। তারা একান্তে সময় কাটিয়েছেন এমন দাবিও করা হচ্ছে। যদিও যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এসেছে সেখানে দু’জনকে একে অপরের খুব কাছাকাছি দেখা যায়নি। তবে তারা যে একসঙ্গে ডেটিংয়ে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত।

ইসাবেলা অবশ্য ভিনি জুনিয়রের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তার কেবল বন্ধু বলে দাবি করেছেন। ভিডিও’র প্রেক্ষিতে ইসাবেলা নিজেই সামাজিক মাধ্যমে ভিনির সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন এবং ভিনির সঙ্গে বন্ধুত্বের বাইরে কোন সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করে দিয়ছেন। 

ইসাবেলা লাদেরা এর আগে কলম্বিয়ান এক গায়কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে। যার নাম বেলে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের মতে, ওই সম্পর্ক কিছুদিন হলো ভেঙে গেছে। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ওই অধ্যায় ভুলে লাদেরা এখন নতুন সম্পর্কের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন। হতে পারে বন্ধুত্ব, প্রেম হতে কতক্ষণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে

একসঙ্গে ছয় জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা মো. হুসাইন শওকত। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন এই কর্মকর্তা।
একসঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছে অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠি দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

২০২৪ সালের ২৮ জুলাই অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে খুলনায় বদলি হন ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হুসাইন শওকত। দক্ষ ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য সুনাম রয়েছে তাঁর। এজন্য স্থানীয় সরকার পরিচালক পদ শূন্য হলে তাঁকে ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ১৯ আগস্ট খুলনাসহ ৮ বিভাগীয় শহরের জেলা পরিষদে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের (সার্বিক) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হুসাইন শওকত জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ শেষ হলে দীর্ঘদিন পদ ফাঁকা ছিল। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতা দেখা দিলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালককে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন তিনি। 
ফেব্রুয়ারি মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ দখল করে নেন কিছু ব্যবসায়ী। সংগঠনে অচলাবস্থা দেখা দিলে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) ব্যবসায়ী সংগঠনটির প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাটি তিনি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। পরে বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে ৩ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় পদাধিকবারবলে জেলা পরিষদের প্রশাসককে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হুসাইন শওকত রেড ক্রিসেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ মাসে ১০ দিনও জেলা পরিষদে অফিস করেননি প্রশাসক। আগে জরুরি সভাগুলোও বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে হতো। তিন মাস ধরে সভাগুলো জেলা পরিষদে হচ্ছে। নিয়মিত ফাইলগুলো অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনো ফাইল আটকে থাকে না।
খুলনা ওয়াসা থেকে জানা গেছে, মাসে ৫-৬ দিন তিনি অফিসে যান। ওয়াসার ফাইলও কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বাক্ষর করে পরদিন কর্মচারীরা নিয়ে আসেন। ফাইল আটকে না থাকলেও প্রশাসক নিয়মিত অফিস না করায় অধিকাংশ কর্মচারী নিয়মিত অফিসে থাকেন না। বিশেষ করে পাম্প অপারেটররা অধিকাংশই সময়মতো দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতার অফিসে প্রায়ই বিশৃঙ্খলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ ও রেড ক্রিসেন্টেও হাতেগোনা কয়েকদিন তিনি অফিস করেছেন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে বসেই এসব কাজ করেন তিনি।
খুলনায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন ৪ জন। একজনের কাঁধে স্থানীয় সরকার পরিচালকসহ এত দায়িত্ব কেন– জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তিনি দায়িত্বে রয়েছেন। দক্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা বেশি থাকে। তারপরও প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব কীভাবে ভাগ করে দেওয়া যায়, ভাবছি।’ 
মো. হুসাইন শওকত বলেন, ‘ছয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন কষ্টকর হলেও কোনো ফাইল তাঁর কাছে পড়ে থাকে না। নিয়মিত কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। ওয়াসায় এমডি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ হয়ে গেলে চাপ কমে যাবে। নৌপরিবহন মালিক গ্রুপেও নির্বাচনী বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুনরাই দায়িত্ব পালন করবেন।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মন্ত্রিপরিষদ ও স্থানীয় সরকার সচিবের সঙ্গে একটি সভায় দেখা হলে একসঙ্গে এত দায়িত্ব পালনের জটিলতার বিষয় তুলে ধরেন। তারা দ্রুত এটি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নড়াইলে একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
  • পাকা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
  • ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে
  • জোতা, এটা কোনো কথা হলো
  • সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
  • প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা