ভাইরাল ভিডিও থেকে ভিনির প্রেমের গুঞ্জন
Published: 5th, July 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের সঙ্গে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ ছন্দেও আছেন তিনি। নিউ ইয়র্কে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে লস ব্লাঙ্কোসরা।
তার আগে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা একটা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে পোজ দিয়ে মায়ামি বসবাস করা ভেনেজুয়েলান মডেল ও সোস্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ভিনি ছবি পোস্ট করেছেন।
ওই নারীর নাম ইসাবেলা লাদেরা। বয়স ২৩ বছর। যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তাতে দেখা গেছে- একসঙ্গে ভিনিসিয়াস ও ইসাবেলা একটা জায়গা থেকে বের হচ্ছেন। ইসাবেলার পেছনে আছেন ভিনি জুনিয়র।
এরপরই ইসাবেলার সঙ্গে ভিনির প্রেমের গুঞ্জন বের হয়েছে। তারা একান্তে সময় কাটিয়েছেন এমন দাবিও করা হচ্ছে। যদিও যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এসেছে সেখানে দু’জনকে একে অপরের খুব কাছাকাছি দেখা যায়নি। তবে তারা যে একসঙ্গে ডেটিংয়ে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত।
ইসাবেলা অবশ্য ভিনি জুনিয়রের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তার কেবল বন্ধু বলে দাবি করেছেন। ভিডিও’র প্রেক্ষিতে ইসাবেলা নিজেই সামাজিক মাধ্যমে ভিনির সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন এবং ভিনির সঙ্গে বন্ধুত্বের বাইরে কোন সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করে দিয়ছেন।
ইসাবেলা লাদেরা এর আগে কলম্বিয়ান এক গায়কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে। যার নাম বেলে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের মতে, ওই সম্পর্ক কিছুদিন হলো ভেঙে গেছে। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ওই অধ্যায় ভুলে লাদেরা এখন নতুন সম্পর্কের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন। হতে পারে বন্ধুত্ব, প্রেম হতে কতক্ষণ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা