রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মুজতবা আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন একদল মানুষ। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে ভাটারা থানায় সোপর্দ করা হয়। মুজতবা আলী ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান বলে তাঁকে থানায় সোপর্দ করা লোকজন জানিয়েছেন।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক মুজতবা আলীকে শনিবার সন্ধ্যার সময় লোকজন আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। তবে মুজতবা আলীর বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় কোনো মামলা নেই। অন্য থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না, সেটি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

ভাটারা থানার ওসি জানান, মুজতবা আলীকে থানায় সোপর্দ করার পর লোকজন থানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের ভাষ্য, মুজতবা আলী ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান। ধামাকা শপিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরাই মুজতবা আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জতব

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে, মে মাসে ২০ টন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মে মাসে আরও ২০ টন সোনা কিনেছে। এই পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। খবর ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের।

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা বেড়েছে। কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক মে মাসে সাত টন সোনা কিনেছে। এতে ব্যাংকটির মোট মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টন। এ ছাড়া বছরের শুরু থেকে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের মজুত বেড়েছে ১৫ টন। গোল্ড কাউন্সিল অবশ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে সোনা মজুতের গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে।

তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মে মাসে ছয় টন সোনা কিনেছে। এতে চলতি বছর ব্যাংকটির মোট ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ টন। চলতি বছর সোনার সবচেয়ে বড় নিট ক্রেতা দেশ পোল্যান্ড। চলতি বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬৭ টন সোনা কিনেছে। মে মাসে দেশটির ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ছয় টন।

চীনের পিপলস ব্যাংক ও চেক রিপাবলিকের ন্যাশনাল ব্যাংক, উভয়ই মে মাসে দুই টন করে সোনা কিনেছে। এ ছাড়া মে মাসে বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুরের মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষ। তারা পাঁচ টন সোনা বিক্রি করেছে। এরপর উজবেকিস্তান ও জার্মানির ডয়চে বুন্ডেসব্যাক উভয়ই এক টন করে বিক্রি করেছে।

চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিট সোনা বিক্রেতা দেশ উজবেকিস্তান। এ সময় দেশটি ২৭ টন সোনা বিক্রি করেছে। সিঙ্গাপুরের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০ টন।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’-এ দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সোনা মজুত বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী ১২ মাসে সারা বিশ্বে সরকারি পর্যায়ে সোনা মজুত বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির সময়ে বিকল্প সম্পদ ও ঝুঁকি প্রতিরোধী হিসেবে সোনার কার্যকারিতা—এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।

এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে ‘অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ফোরামের গ্লোবাল পাবলিক ইনভেস্টর ২০২৫ প্রতিবেদনে। ৩২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে তারা সোনা মজুদ বাড়াতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ