রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মুজতবা আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন একদল মানুষ। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে ভাটারা থানায় সোপর্দ করা হয়। মুজতবা আলী ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান বলে তাঁকে থানায় সোপর্দ করা লোকজন জানিয়েছেন।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক মুজতবা আলীকে শনিবার সন্ধ্যার সময় লোকজন আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। তবে মুজতবা আলীর বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় কোনো মামলা নেই। অন্য থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না, সেটি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

ভাটারা থানার ওসি জানান, মুজতবা আলীকে থানায় সোপর্দ করার পর লোকজন থানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের ভাষ্য, মুজতবা আলী ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান। ধামাকা শপিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরাই মুজতবা আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জতব

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ