মেসির সেরা সময়কে মনে করিয়ে দেওয়া অবিশ্বাস্য গোল
Published: 6th, July 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে হতাশাজনক বিদায়ে খানিকটা যেন মুষড়েই পড়েছিলেন ইন্টার মায়ামির ভক্তরা। টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি লিওনেল মেসি-সুয়ারেজরাও। সেই ব্যর্থতার প্রভাব মেজর লিগ সকারেও (এমএলএস) পড়ে কি না সেদিকেই ছিল সবার চোখ।
কিন্তু মেসি জাদুতে সব আশঙ্কা মুহূর্তেই উড়ে গেল। আজ রোববার সকালে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মেসি। অন্য দুই গোল এসেছে তাদেও আলেন্দে ও তালেসকো সেগোভিয়ার কাছ থেকে।
মন্ট্রিয়লের মাঠে মায়ামির শুরুটা অবশ্য হতাশারই ছিলই। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রিন্স ওয়াসুর গোলে এগিয়ে যায় মন্ট্রিয়ল। পিছিয়ে পড়লেও হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যায় মায়ামি। অবশেষে ৩৩ মিনিটে মেসির সহায়তায় বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করে মায়ামিকে সমতায় ফেরান আলেন্দে। ৪০ মিনিটে মন্ট্রিয়লের চার ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন মেসি। তাতে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মায়ামি।
আরও পড়ুনমেসি কি সত্যিই বার্সেলোনায় ফিরবেন, কেন ফেরা উচিত৩ ঘণ্টা আগেবিরতির পর মায়ামি যেন আরও ক্ষুরধার। ৬০ মিনিটে আক্রমণের ধারায় মায়ামিকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন সেগোভিয়া। বক্সের বাইরে অসাধারণ এক শটে গোল করেন তিনি। দুই মিনিট পরই দেখা মেলে মেসির আসল জাদুর।
মেসির গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় বছরে আরো দেড় লাখ রোহিঙ্গা এসেছে বাংলাদেশে: জাতিসংঘ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এটি সর্বোচ্চসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা। নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইউএনএইচসিআর জানায়, গত জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে অনেককে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি, যদিও তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন।
কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার জায়গায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের কারণে এটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, নতুন করে আরো রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় বিদ্যমান সহায়তা ব্যবস্থার ওপর চরম চাপ পড়ছে।
খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়ের জন্য নতুন করে আগতরা অনেকাংশেই আগের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যে দাতাগোষ্ঠী তহবিল সংকটে পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।
এমন সংকটে রোহিঙ্গাদের মাঝে হতাশা, নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গাদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে না আসা পর্যন্ত, রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা যেন বন্ধ না করা হয়, তার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা।
ঢাকা/হাসান/ইভা