নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগ নেতা প্রশান্ত কুমার গ্রেপ্তার
Published: 7th, July 2025 GMT
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নেত্রকোনা শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র ছিলেন।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। নেত্রকোনা মডেল থানা ও বারহাট্টা থানায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে প্রশান্তকে অন্তত আটটি মামলায় আসামি করা হয়। কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকার পর গত ২০ জুন সকালে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়। জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে ছোট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে প্রশান্ত কুমার রায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এসব কর্মসূচির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে একই দিন সন্ধ্যা ও রাতে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশান্তর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রশান্ত কুমার রায়ের চারতলা বাসায় হামলা চালিয়ে আসবাবসহ সবকিছু ভাঙচুর, টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় বাসায় প্রশান্তর স্ত্রী, বড় ভাই ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা প্রশান্ত কুমার রায়কে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ভোরে ঝটিকা মিছিল করার পর আত্মগোপনে গিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন। তাঁকে থানায় আনা হয়েছে, আদালতে তোলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে