সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তেলেগু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সামান্থা। ২০২৫ সালের তেলেগু অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সামান্থা, এমনকি দর্শকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথাও নিচু করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যত ভুলই করি না কেন, আপনারা কখনো আমাকে ছেড়ে যাননি।’
‘১৫ বছর লেগে গেল ধন্যবাদ জানানোর জন্য’
দীর্ঘ সময় পর এই মঞ্চে এসে বক্তব্য দিতে পারায় নিজেই বিস্মিত সামান্থা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো আপনাদের ধন্যবাদ বলার সুযোগই পাইনি। আমার প্রথম ছবি থেকেই আপনারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। শুধু ভালোবাসাই দিয়ে গেছেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে ১৫ বছর লেগে গেল (মাথা নিচু করে)। যদিও দেরি হয়েছে, তবু আমি মনে করি, আমার ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ মঞ্চে এসেছি।  আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’