সিটি ব্যাংক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) যৌথভাবে একটি বিশেষায়িত ‘এক্সিকিউটিভ লিডারশিপ ট্রেনিং গ্রোগ্রাম’ চালু করতে যাচ্ছে।

সম্প্রতি আইবিএ প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় জানিয়ে সিটি ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, কর্পোরেট নেতৃত্ব বিকাশে এটি ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ’।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং আইবিএর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল হুদা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আরো পড়ুন:

প্রভিশন সংরক্ষণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা 

পাঁচ বছরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২২৮ শতাংশ

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ছাড়াও দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী ও শিক্ষকরা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম, যেখানে একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং দেশের অগ্রগণ্য অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ লিডারশিপ ট্রেনিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে একত্র হয়েছে।

আইবিএর অভিজ্ঞ অনুষদ সদস্য এবং ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা এই প্রোগ্রামটি পরিচালনা করবেন। অংশগ্রহণকারীরা পাবেন কৌশলগত চিন্তাভাবনা, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ।

সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ তাদের দীর্ঘমেয়াদি মানবসম্পদ উন্নয়ন কৌশলের একটি বড় মাইলফলক এবং ভবিষ্যতমুখী নেতৃত্ব গঠনে তাদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস আইব এ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ