বাগানের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া পাকা সড়কের দুই পাশে সবুজ চা-গাছ। চায়ের জমি ছাড়িয়ে অদূরের তিনটি টিলাজুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি পামগাছ। দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ে স্থানটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে স্থানটি ‘পামটিলা’ নামে পরিচিত। গবাদিপশু চরাতে গিয়ে রাখালেরা সেখানে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। আবার কেউ কেউ প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে বেড়াতেও যান।

স্থানটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগান এলাকায় পড়েছে। কুলাউড়া পৌর শহর থেকে গাজীপুর চা-বাগান হয়ে রাঙ্গিছড়া বাগান অথবা মুরইছড়া যাওয়ার পথে পামটিলার দেখা মিলে। গত শনিবার বিকেলে সড়কটি দিয়ে যাওয়ার সময় পামটিলার এ দৃশ্য চোখে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জানা যায়, পাশাপাশি তিনটি টিলায় অন্তত ২০০টি পামগাছ আছে। বেশ কিছু গাছে ফলন এসেছে। কালচে রং ধরেছে অনেক পামে।

আশপাশে গরু চরিয়ে পামটিলার এক পাশের ঢালে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কালিটি বাগানের বাসিন্দা অজিত কৈরি। ষাটোর্ধ্ব অজিত আগে বাগানটিতেই কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। এখন নিজেদের গবাদিপশুর যত্ন-আত্তি করে তাঁর দিন কাটে।

চা-বাগানে পামগাছ কেন? জানতে চাইলে অজিত হেসে জবাব দেন, ২০-২৫ বছর আগে বাগানটির আগের ইজারাদার শখ করে গাছগুলো লাগান। ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়েছে। সব গাছেই কমবেশি ফল ধরে। তবে কেউ তেমন যত্ন নেন না।

পামগাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন এক ব্যক্তি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরে নিহত আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছে তারা আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর তারা আবরারের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। 
এনসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা শেষে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কুষ্টিয়া শহরে পদযাত্রা শেষে তাদের মেহেরপুর যাওয়ার কথা রয়েছে।  

জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ  কুষ্টিয়া শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পথসভা করবে দলটি। 

আরো পড়ুন:

বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না, ভয় পাই না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনৈতিক দলগুলো চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে: নাহিদ ইসলাম

এর আগে দলের শীর্ষ নেতারা সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫মিনিটে কুষ্টিয়া শহরে পৌঁছান এবং আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান প্রমুখ। 

এ ছাড়াও এনসিপির অঙ্গ সংগঠন যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

কাঞ্চন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ