ট্রাক চাপায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বড় ছেলে আহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়ায় এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার সলঙ্গা থানার পুরনা বেড়া গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মাদের ছেলে আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) ও তার ছেলে জুয়েল খান্দকার (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, থানার পুরান বেড়া থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে দুই ছেলে জেলার এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় নুর জাহান হোটেলের সামনে পৌঁছলে মহাসড়কে খানাখন্দ থাকায় অটোরিকশাটি মহাসড়কের মাঝামাঝি চলে যায়। 

এসময় হাটিকুমরুল থেকে বনপাড়াগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী আব্দুল মান্নান খান্দকার ও তার ছোট ছেলে জুয়েল খন্দকার মারা যায়। আহত হন বড় ছেলে রাসেল খন্দকার। স্থানীয়রা তাদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মরদেহ থানায় নিয়ে এসেছে। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/অদিত্য/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেরাণীগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশ থেকে তাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। 

পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাম জানা কেউ তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে।

মারা যাওয়া তাজুল দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার পশ্চিমদি ঝালখোলা এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

শাহীন চাকলাদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এএসআই ক্লোজড

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে রাস্তার পাশে মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সুরতহাল শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের স্বজনরা জানান, তাজুলের মেয়ের জামাই সবুজের দুইটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে দুইজন রাজমিস্ত্রিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা শেষে থানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাজুল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাজুল ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়েত প্রবাসী। তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। চলতি মাসের ২৬ তারিখে তার কুয়েতে ফেরার কথা ছিল। 

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, “মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাম জানা কেউ তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির একটি দল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন।

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ