সিলেটে ইজারা বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া ও জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস–মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।

এর আগে ছয় দফা দাবিতে আজ সকাল ছয়টায় জেলা সড়ক পরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু হয়েছিল।

ময়নুল ইসলাম বলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বেলা তিনটায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষার্থীসহ বিদেশ যাত্রীসহ অন্যদের সুবিধার্থে আপাতত ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহরিয়ার আলম বলেন, পর্যটকেরা সিলেটে বেড়াতে এসে ধর্মঘটের কারণে অনেকেই আটকে গেছেন। আবার চলমান এইচএসসি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরাও ধর্মঘটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সবকিছু বিবেচনা করে পরিবহনের নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুনসিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু৪ ঘণ্টা আগে

এদিকে ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা দেওয়ার পর যানবাহন চলাচল কিছুটা বেড়েছে। দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করছে।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, সনাতন পদ্ধতিতে বালুমহাল ও পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া; বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহনের ওপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার; সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুর করা মিলের ক্ষতিপূরণ; সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু–পাথরসহ পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ৬ ভাড়াটিয়াকে ঘরে রেখে তালা দিলেন মালিক 

সুনামগঞ্জে বাসা ভাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ভাড়াটিয়া একটি পরিবারকে ঘরের ভিতরে রেখেই তালা দিলেন মালিক ইউসুফ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর ধরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় একটি টিনের বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যসহ বসবাস করে আসছেন চানাচুর বিক্রেতা ইমন বর্মন। বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করছেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ভাড়া পরিশোধের সময় কয়েক তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় দুর্ব্যবহার করেন বাড়ির মালিক ইউসুফ চৌধুরী। সময় মতো ভাড়া পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করায় ভাড়াটিয়া ইমন, তার মা জবা বর্মনসহ ছয়জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে জানিয়ে অন্যত্র চলে যান। 

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ঘরে বন্দি অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাচ্চু মিয়া বাসার মালিকের থেকে চাবি এনে তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। 

আরো পড়ুন:

যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার

ইমন বর্মন বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকি। জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার আমি, আমার মাসহ ৬ জনকে ঘরে রেখে তালা মেরে চলে যান বাড়ির মালিক।’’ তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

ঢাকা/মনোয়ার/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ