ফেসবুকে পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব। দিন যতই গড়িয়েছে, সেই বন্ধুত্ব রূপ নিয়েছে গভীর প্রেমে। এই প্রেম ছিল একটু আলাদা। এর একদিকে চার সন্তানের মা, অন্যদিকে এক তরুণী। প্রেমের টানে চার সন্তানের জননী পাড়ি জমান ঢাকায়। এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটেছে শৈলকূপা থানায়।

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার সাতগাছী গ্রামের প্রবাসী এনামুল হকের স্ত্রী কল্পনা খাতুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় গাইবান্ধার সদর উপজেলার নুরনবীর মেয়ে নুরিয়ার। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার।

সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কল্পনা খাতুন ৯ দিন আগে চার সন্তান ও সংসার ফেলে গোপনে ঢাকায় চলে যান নুরিয়ার কাছে। সেখানে কয়েক দিন তারা একসঙ্গে সময় কাটান।

আরো পড়ুন:

মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রেমিক হিসেবে কেমন?

কল্পনার খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার শৈলকূপা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে কৌশলে থানায় নিয়ে আসে।

সকালে থানায় হাজির হয় দুই পরিবার। একদিকে কল্পনা ও নুরিয়া, অন্যদিকে তাদের পরিবার ও কৌতূহলী জনতার ভিড়। অনেকক্ষণ বোঝাপড়ার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় দুজনকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। আর সেখানে শেষ হয় দুই নারীর প্রেম।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘‘কল্পনা খাতুনের পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করি। পরে তাদের কৌশলে থানায় এনে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।’’

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র শ লক প

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?