২৯ ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়া সূর্যবংশী প্রথম ইংল্যান্ড সফরে কেমন করলেন
Published: 9th, July 2025 GMT
ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইংল্যান্ড সফর করলেন বৈভব সূর্যবংশী। ১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার প্রথম সফরেই যা করেছেন, তাতে তিনি আরও একবার আলোচনায় চলে এসেছেন।
ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এজবাস্টন টেস্ট চলাকালীন ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন, দীনেশ কার্তিকদের মুখেও এই বিস্ময়বালকের কথা শোনা গেছে। তা সূর্যবংশী প্রথম ইংল্যান্ড সফরে কেমন করলেন?
সূর্যবংশী যেভাবে খেলেছেন, তাতে অনেকেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভাবতে পারেন। আসলে এটি ভারত ও ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–১৯ দলের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ ছিল। ৫ ম্যাচের এ সিরিজে ১৭৪.
সিরিজে স্ট্রাইক রেট ও রানে সূর্যবংশীকে কেউ ছুঁতে পারেনি। ১৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন ইংল্যান্ডের টমাস রো, তাঁর মোট রান ২৮০। ৫ ম্যাচে দুবার নটআউট থাকায় গড়ে তিনি সূর্যবংশীকে ছাড়িয়ে গেছেন। টমাসের গড় ৯৩. ৩৩।
সূর্যবংশী সিরিজে ছক্কা মেরেছেন ২৯টি। যা যুব ওয়ানডের ইতিহাসে এক সিরিজে সর্বোচ্চ। ভারত ইংল্যান্ড সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মারা টমাস রোর চেয়ে যা প্রায় তিন গুণ বেশি। ইংল্যান্ডের ১৭ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরেছেন ১০টি।
২৯ইংল্যান্ড সিরিজে সূর্যবংশীর ছক্কার সংখ্যা।সিরিজে চতুর্থ ম্যাচে ৭৮ বলে ১৪৩ রান করেন বৈভব। এ ইনিংসটি খেলে তিনি একই সঙ্গে ভাঙেন যুব ওয়ানডের তিনটি রেকর্ড। যুব ওয়ানডেতে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন, ভেঙেছেন সরফরাজ খানের রেকর্ড। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৫ বছর ৩৩৮ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন সরফরাজ। বৈভব সেঞ্চুরি করেন ১৪ বছর ১০০ দিন বয়সে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দল ঘোষণা: সেই তিনজন এবারও নেই১৭ ঘণ্টা আগেসব মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানও সূর্যবংশী। এর আগে রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের নাজমুল হোসেনের। ২০১৩ সালে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৪ বছর ২৪১ দিন বয়সে।
১৩ চার ও ১০ ছক্কায় ৭৮ বলের ইনিংসটি খেলার পথে বৈভব সেঞ্চুরি করেন ৫২ বলে। ভেঙে ফেলেন তিনি যুব ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড, যেটি এর আগে ছিল পাকিস্তানের কামরান গুলামের। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫৩ বলে।
আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশীউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
সুলতানচাঁপার রাজসিক সৌন্দর্য
এমন অভাবনীয় কাণ্ডও ঘটতে পারে! ধারণায় ছিল না। কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম রমনা নার্সারিতে। অভ্যাসবশত প্রিয় গাছগুলো দেখছিলাম। আগাম বৃষ্টিতে গাছগুলো প্রাণপ্রাচুর্যে রূপসী হয়ে উঠেছে। হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি গাছে। ফুলভর্তি গাছটি। সাদা রঙের ফুলগুলো স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে। কয়েকটি মুহূর্ত মাত্র! ছুটে গেলাম গাছটির কাছে। বিস্মিত আমি চোখ বড় বড় করে অপলক তাকিয়ে থাকলাম গাছটির দিকে। ছুঁয়ে দেখলাম। বিড়বিড় করে বললাম, কত বড় হয়েছে গাছটি।
২০১৩ সালে সুলতানচাঁপার দুটি গাছ রোপণ করি এখানে। একটি হারিয়ে গেলেও বেঁচে আছে এই গাছ। সুদর্শন পাতা ও ডালপালায় বেশ সুদৃশ্য হয়ে উঠেছে।
সুলতানচাঁপার প্রতি আমার কিঞ্চিৎ পক্ষপাত রয়েছে হয়তোবা। সুদর্শন এই গাছ ঢাকায় বেশ দুষ্প্রাপ্য। জানামতে, ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের কয়েকটি গাছই ছিল ঢাকাবাসীর জন্য। এ কারণে অনেক কষ্টে সংগ্রহ করা দুটি চারা রমনা পার্কে রোপণ করি ২০১২ সালে। কয়েক মাসের মধ্যেই গাছ দুটি লাপাত্তা। পরে (২০১৩ সাল) আবার লাগানো হয় দুটি গাছ, যার একটি এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েক বছর খোঁজখবর নেওয়ার পর গাছ দুটির কথা বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলাম। সেদিন আক্ষরিক অর্থেই চমকে গিয়েছিলাম। জানি না, কত বছর ধরে ফুল ফুটছে গাছটিতে। পরে অবশ্য ঢাকার চারুকলা অনুষদ এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেও দুটি গাছ লাগানো হয়েছে। টেনেটুনে হাতে গোনা কয়েকটি গাছ মাত্র। অথচ এমন সুদর্শন গাছ নগরের বৃক্ষায়ন পরিকল্পনায় আরও ব্যাপক পরিমাণে থাকা প্রয়োজন।
প্রায় ২২ বছর আগে সুলতানচাঁপার ফুল প্রথম দেখি মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। তখন ডিজিটাল ক্যামেরা ততটা সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। ম্যানুয়াল ক্যামেরায় ছবি তুলে প্রিন্ট করে দেখাই অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মাকে। তাঁর মুখেই প্রথম সুলতানচাঁপার নাম শুনি। গ্রামে দেখা কন্ন্যাল বা পুন্ন্যাগগাছই যে সুলতানচাঁপা, সে রহস্যটাও তিনিই উন্মোচন করেন। ছেলেবেলায় ফুলের সৌন্দর্য খুব একটা চোখে না পড়লেও গাছতলায় অনেকবার পরিপক্ব ফল দেখেছি। যখন স্কুলে পড়ি, তখনো গ্রামের বাজারে হাটবারে কন্ন্যাল (ফল) বিক্রি হতে দেখেছি। এ কারণে বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাজসিক গড়নের সেই একই পাতার গাছ দেখে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।
সুলতানচাঁপার অপরিপক্ব ফল