ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইংল্যান্ড সফর করলেন বৈভব সূর্যবংশী। ১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার প্রথম সফরেই যা করেছেন, তাতে তিনি আরও একবার আলোচনায় চলে এসেছেন।

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এজবাস্টন টেস্ট চলাকালীন ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন, দীনেশ কার্তিকদের মুখেও এই বিস্ময়বালকের কথা শোনা গেছে। তা সূর্যবংশী প্রথম ইংল্যান্ড সফরে কেমন করলেন?

সূর্যবংশী যেভাবে খেলেছেন, তাতে অনেকেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভাবতে পারেন। আসলে এটি ভারত ও ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–১৯ দলের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ ছিল। ৫ ম্যাচের এ সিরিজে ১৭৪.

০১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন সূর্যবংশী। মোট রান ৩৫৫, গড় ৭১।

সিরিজে স্ট্রাইক রেট ও রানে সূর্যবংশীকে কেউ ছুঁতে পারেনি। ১৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন ইংল্যান্ডের টমাস রো, তাঁর মোট রান ২৮০। ৫ ম্যাচে দুবার নটআউট থাকায় গড়ে তিনি সূর্যবংশীকে ছাড়িয়ে গেছেন। টমাসের গড় ৯৩. ৩৩।

সূর্যবংশী সিরিজে ছক্কা মেরেছেন ২৯টি। যা যুব ওয়ানডের ইতিহাসে এক সিরিজে সর্বোচ্চ। ভারত ইংল্যান্ড সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মারা টমাস রোর চেয়ে যা প্রায় তিন গুণ বেশি। ইংল্যান্ডের ১৭ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরেছেন ১০টি।

২৯ইংল্যান্ড সিরিজে সূর্যবংশীর ছক্কার সংখ্যা।

সিরিজে চতুর্থ ম্যাচে ৭৮ বলে ১৪৩ রান করেন বৈভব। এ ইনিংসটি খেলে তিনি একই সঙ্গে ভাঙেন যুব ওয়ানডের তিনটি রেকর্ড। যুব ওয়ানডেতে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন, ভেঙেছেন সরফরাজ খানের রেকর্ড। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৫ বছর ৩৩৮ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন সরফরাজ। বৈভব সেঞ্চুরি করেন ১৪ বছর ১০০ দিন বয়সে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দল ঘোষণা: সেই তিনজন এবারও নেই১৭ ঘণ্টা আগে

সব মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানও সূর্যবংশী। এর আগে রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের নাজমুল হোসেনের। ২০১৩ সালে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৪ বছর ২৪১ দিন বয়সে।

১৩ চার ও ১০ ছক্কায় ৭৮ বলের ইনিংসটি খেলার পথে বৈভব সেঞ্চুরি করেন ৫২ বলে। ভেঙে ফেলেন তিনি যুব ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড, যেটি এর আগে ছিল পাকিস্তানের কামরান গুলামের। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫৩ বলে।

আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

সরফরাজের টানা চার বাউন্সার, আম্পায়ার নিশ্চুপ, প্রতিবাদে ম্যাচ ছেড়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক

১৪ বলে ২৩ রান দরকার, হাতে ৮ উইকেট। ওপেনারদের একজন ৭৮ রানে অপরাজিত। এই ম্যাচে কোন দল জিততে পারে—এ নিয়ে কেউ বাজি ধরতে রাজি হবে বলে মনে হয় না। এখান থেকে ব্যাটিং টিম খেলা ছেড়ে দিতে পারে, এটা কি বিশ্বাস করার মতো?
অথচ ঘটনা তা–ই।

সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা নিয়ে অবশ্য সবার আগে আলোচনা করা উচিত। খেলা ছেড়ে দেওয়া মানে কী? যে ম্যাচটার কথা বলছি, সেটি ছিল ওয়ানডে। টেস্ট ক্রিকেটে ইনিংস ডিক্লেয়ার করা যায়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তো বটেই। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তো সেই নিয়মই নেই। এটা তো বক্সিং ম্যাচও নয় যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কারও অবস্থা খারাপ দেখে প্রতিপক্ষকে জয়ী ঘোষণা করে দেবেন রেফারি। পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও তাই অলআউট বা ওভার শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত খেলা চলে। তাহলে?
এই ‘তাহলে’–এর উত্তর দিতেই এই লেখা।

আরও পড়ুনটি–টোয়েন্টির রেকর্ড নিয়ে কথা বলতে ভয়২৯ অক্টোবর ২০২৫

১৯৭৮ সালে শাহিওয়ালে ভারত–পাকিস্তান ওয়ানডেটা ব্যতিক্রমী হয়ে থাকার কারণও লুকিয়ে এতে। ওয়ানডে ইতিহাসে এটাই একমাত্র ম্যাচ, যাতে এক দল খেলা ছেড়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে জয় উপহার দিয়েছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, সিদ্ধান্তটা ছিল ভারতীয় অধিনায়ক বিষেণ সিং বেদির, যা ছিল আসলে একটা প্রতিবাদ।

অধিনায়ক হিসেবে বিষেণ সিং বেদি ছিলেন আপসহীন মনোভাবের

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরফরাজের টানা চার বাউন্সার, আম্পায়ার নিশ্চুপ, প্রতিবাদে ম্যাচ ছেড়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক