টলিউডের আলোচিত দম্পতি যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। কিন্তু সেই হাসিখুশি সংসারটি আর নেই। এই দম্পতির দুই কন্যাও আর যীশুর সঙ্গে থাকেন না। দুই কন্যাকে নিয়ে কেমন আছেন নীলাঞ্জনা?

যেকোনো মানুষের জীবনে প্রিয় মানুষটি অনেকখানি জায়গাজুড়ে থাকেন। প্রিয় মানুষটি চলে যাবার পর শূন্যতা তৈরি হয় কিন্তু সেই শূন্যতাও নানাভাবে পূর্ণতা পেতে শুরু করে। নীলাঞ্জনার জীবন ও সংসারের গল্পটিও তাই। 

দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের মতো সংসার সাজিয়েছেন নীলাঞ্জনা। একটা সময় নিজেকে কয়েক মাসের জন্য গুটিয়ে নেন যীশু। যদিও এখন অবশ্য তিনি স্বমহিমায় ফিরেছেন শোবিজে। একটি রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাকে। বিভিন্ন সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজিরও হচ্ছেন যীশু। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ‘মা’ হতে চান তিশা

বিয়েটা ভেঙে দিলেই কী আমি রাজার আসন পেয়ে যাবো: অঞ্জনা

অন্য দিকে, টিভি নাটক প্রযোজনায় মন দিয়েছেন নীলাঞ্জনা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘দুই মেয়ে ছাড়া আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হত না।’’ 

একটি টিভি চ্যানেলে নীলাঞ্জনার প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ধারাবাহিক ‘দাদামণি’র সম্প্রচার শুরু হয়েছে। যদিও এর আগে যিশুর সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন নীলাঞ্জনা। তবে শোনা যায়, সেখানে যিশুর অংশীদারিত্ব ছিল। 

এ বার অবশ্য একেবারে ‘একলা চলো রে’ নীতি প্রযোজনায় নেমেছেন নীলাঞ্জনা। মায়ের এই প্রথম পদক্ষেপের সঙ্গে রয়েছে দুই কন্যা সারা ও জারা। 

নীলাঞ্জনা বলেন, ‘‘আমার নতুন শোয়ের সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এতোদিন অবশ্যই চিন্তায় উদ্বেগে ছিলাম। আমার প্রত্যেক দিনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সহ্য করেছে সারা ও জারা। আমি যে কাজটি করতে পেরেছি তাতেই গর্বিত।’’

নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন সব কিছু স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা এবং নিজের কাজ চালিয়ে নেওয়ার শক্তি পেয়েছেন দুই মেয়ের কাছ থেকে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ন ন ল ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ