শেরপুর জেলার পাঁচ উপজেলা ও চার পৌরসভাসহ নয়টি ইউনিটের বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশ।

সভায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান তারা, সফিকুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, আবু রায়হান রুপন, সাইফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ডা.

সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা, প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল, সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. হযরত আলীসহ ২৯ জন বক্তব্য রাখেন।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ সাংবাদিকদের জানান, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেলার বিএনপির নয়টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্রুতই নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। নতুন কমিটিতে কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি ও আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেনাই এমন কেউ স্থান পাবে না।

ঢাকা/তারিকুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বৃদ্ধ শ্বশুর ও পুত্রবধূর হাত বাঁধা-গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় আফতাব হোসেন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ ও তার পুত্রবধূ মোছা. রিভার (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রাম থেকে তাদের হাত বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আফতাব হোসেন লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের মৃত পানা উল্লাহা প্রামাণিকের ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক। এবং মোছা. রিভা আফতাব হোসেনের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী শাহজাহানের স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানান, আফতাব হোসেনের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শাহজাহান বেশ কয়েক বছর আগে সৌদি আরব চলে যান। তার স্ত্রী রিভা এক ছেলে নীরব এবং মেয়ে মালিহাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। আফতাব হোসেনের ছোট ছেলে ঢাকায় থাকেন।

স্বজনরা বলেন, মঙ্গলবার রাতে আফতব হোসেন বাড়িতে তার ঘরে এবং পুত্রবধূ তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে মালিহাকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে মালিহা তার পাশে হাত বাঁধা এবং গলায় ফাঁস অবস্থায় তার মাকে পড়ে থাকতে দেখে পাশের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। পরে এলাকাবাসী এসে ঘরের বাইরে রিভার শ্বশুর আফতাব হোসেনকেও হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দুজনকে মৃত দেখার পর তারা পুলিশকে খবর দেন।

নিহতের স্বজনরা আরও জানান, রিভার ঘরের আসবাবপত্রগুলো তছনছ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। স্বজনদের কেউ কেউ বলছেন, আফতাব হোসেনের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে এলাকাবাসীর বিরোধ চলছিল।
 
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান সমকালকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা চুরির উদ্দেশ্যে হামলার সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ