আজ বুধবার (০৯ জুলাই) দিবাগত রাতে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে এক উত্তেজনাকর লড়াই। নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের দুই শক্তিশালী ক্লাব— রিয়াল মাদ্রিদ ও প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।

তবে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে নামটি, তিনি কিলিয়ান এমবাপ্পে। সদ্যসমাপ্ত মৌসুম শেষে পিএসজির জার্সি খুলে রিয়ালের সাদা রঙে রঙিন হয়েছেন এই ফরাসি সুপারস্টার। এবার প্রথমবারের মতো মাঠে নামছেন সাবেক সতীর্থদের বিরুদ্ধে। আর এমন ম্যাচকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহও আকাশছোঁয়া।

চেলসি ইতোমধ্যেই ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে আজকের এই বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচেই।

আরো পড়ুন:

মুসিয়ালার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, মাঠের বাইরে থাকবেন কয়েক মাস

অবসরের পর আবার নতুন সূচনা: বার্সায় আরও দুই বছর থাকছেন সেজনি

রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এমবাপ্পে। এবার তার কাছে ভক্তদের প্রত্যাশাও সীমাহীন। তবে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক অতীত টানতে রাজি নন। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, “আমরা অতীত নিয়ে ভাবছি না, বরং সামনে কী অপেক্ষা করছে, সেদিকেই নজর দিচ্ছি।”

তবে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদের গুরুত্ব নিয়ে এনরিক বলেন, “এটা বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ। এমন ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ কিছু।”

তবে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে নিউ জার্সির গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া। মঙ্গলবার চেলসির ম্যাচ চলাকালীন তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ। আবহাওয়া বিভাগ থেকে হিট অ্যালার্ট পর্যন্ত জারি করা হয়। এর মধ্যেই খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে হচ্ছে।

দুই দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ ম্যাচে দু’টি করে জয় ও একটি ড্র করেছে রিয়াল ও পিএসজি। তাই পরিসংখ্যানেও সমতা, মাঠেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিশ্রুতি।

রিয়াল মাদ্রিদ চাইবে আরও একবার ট্রফি ক্যাবিনেট সমৃদ্ধ করতে। আর পিএসজির লক্ষ্য প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখা। আজ রাতের ম্যাচে কে হাসবে শেষ হাসি, তার অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া