অতিরিক্ত  বৃষ্টিপাতের কারনে  বন্দরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরম র্দূভোগের শিকার হচ্ছে  সাধারণ জনগন। পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়াও বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া, চর ঘারমোড়া,  বুরুন্দী, ১নং মাধবপাশা, কান্দীপাড়া, হাজরাদী চাঁনপুর, শান্তিনগর, চর ধলেরশ্বরী, কলাগাছিয়া, মহনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  

অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দরে শীতলক্ষ্যা, ধলেরশ্বরী ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বন্দরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে দিনমজুর, কর্মজিবী ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তি শিকার হয়েছে। বন্দরে অধিকাংশ রাস্তা ছিল ফাঁকা।

এ ব্যাপারে দিনমজুর রমজান মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, গত কদিনের টানা বৃষ্টির কারনে আমাদের রুজিরোজগার কমে গেছে। বৃষ্টিপাতের কারনে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। এ ছাড়াও অনেক দিনমজুর বৃষ্টির মধ্যে গাড়ী চালিয়ে জ্বর, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

নৌ- বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সোনাকান্দা ডকইয়ার্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জি এম আজমীর গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের স্কুলে পরিক্ষা চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে  রাস্তা ঘাটে রিক্সা, মিশুক  থাকছে না। দ্বিগুন ভাড়া দিয়েও রিক্সা মিশুক পাচ্ছি না। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পরিক্ষা দিতে হচ্ছে। 

দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা হৃদয় আহাম্মেদ শাহীন গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে দক্ষিন ঘারমোড়া প্রধান সড়কে হাটুপানিতে পরিনত হয়েছে।

পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে  চরম  র্দূভোগের মধ্য রয়েছে সাধারণ জনগন। কৃত্রিম বন্যার কবল থেকে রেহাই পাওয়ার  জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীরা। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব ষ ট প ত র ক রন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ