ধুঁকে ধুঁকে ১৫৪ রানের পুঁজি পেল বাংলাদেশ
Published: 10th, July 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ৪৬ রানের জুটি দিয়ে ফেরেন তানজিদ তামিম। পরের ব্যাটাররা ধুঁকে ধুঁকে রান করায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে আটকে গেছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনার পারভেজ ইমন ২২ বলে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি পাঁঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। তার সঙ্গী তানজিদ তামিম ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হন।
অধিনায়ক লিটন দাস তিনে নেমে ১১ বলে ৬ রান করে ধুঁকে ধুঁকে আউট হন। পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয় ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। লম্বা বিরতি দিয়ে একাদশে ফেরা নাঈম শেখ ২৯ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। একটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।
ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন। তিনি চারটি চারের শট খেলেন। শেষটায় শামীম পাটোয়ারি ৫ বলে ১২ রান করলে দেড়শ’ ছাড়ায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে পাঁচ অলরাউন্ডার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে। ব্যাটার জাকের আলী ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে নেই। অলরাউন্ডার হিসেবে শামীম পাটোয়ারি, মেহেদী মিরাজ, তানজিম সাকিব, সাইফউদ্দিন ও রিশাদ হোসেন খেলছেন। তারপরও টপ অর্ডারে খেলা চার ব্যাটার নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’