অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকে মামলা থাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা রয়েছে। এখন তাকে মিন্টোরোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিচারে আর বাধা থাকার কথা নয়: মাহমুদুর রহমান
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য, সেটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই শেখ হাসিনার বিচারে আর কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘জুলাই বিপ্লব-২৪’–এর শহীদ পরিবারের সদস্য, পঙ্গুত্ববরণকারী ও আহত ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা এ সভার আয়োজন করে।
সভায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি আশা করব, বর্তমান সরকার তার (শেখ হাসিনা) বিচার দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যেটি আছে, সেই শাস্তি নিশ্চিত করবে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের কাছে আজ শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়ে আছে। কাজেই আপনারা আর কালবিলম্ব না করে তাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যার্পন করুন, যাতে আমরা শেখ হাসিনার বিচার করে তার সাজা কার্যকর করতে পারি।’
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কোনো শহীদকে দলীয়করণ করবেন না। সব শহীদ আমাদের গর্বের মানুষ। তাঁরা দেশের সম্পদ। আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই যোদ্ধাদের উপযুক্ত সম্মান করবে। সেখানে কোনো দল-মত দেখবে না। সবার প্রতি একই রকম সম্মান থাকবে।’
ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের দোসর ও শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদ যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান মাহমুদুর রহমান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শহীদ পরিবারগুলোকে অবহেলা করা যাবে না। কিছু রাজনৈতিক দল, দলের নেতা–কর্মী চব্বিশকে টিটকারি মারেন, আবার ক্ষমতায়ও যেতে চান। চব্বিশের দিকে যারা আঙুল উঠাবে, তাদের পরিণতি ফ্যাসিবাদীদের মতো হবে। আমরা একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা করি, তার মানে এটা নয়, চব্বিশকে আমরা অবহেলা করব।’
সেলিম উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের মধ্যে সব শহীদ পরিবারের কাছে বাজেটে নির্ধারিত টাকা পৌঁছে দিতে হবে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা গুরুতর, তাঁদের তালিকা করে বিদেশে পাঠাতে হবে, যাঁদের দেশে চিকিৎসা সম্ভব, তাঁদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভালো হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর এলাকার শহীদ পরিবারের সদস্য, পঙ্গুত্ববরণকারী ও আহত পাঁচ শতাধিক জুলাই যোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকজন বক্তব্য দেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।