পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে মালদ্বীপের ফ্লাইটে কড়াকড়ি
Published: 11th, July 2025 GMT
মালদ্বীপে পরিচালিত সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা আইল্যান্ড এভিয়েশন।
রবিবার (১৩ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রী, ক্রু এবং বিমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংক থেকে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড এবং শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কিছু নিয়ম শিথিলও রাখা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, যাত্রীরা সর্বোচ্চ দুটি পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখতে পারবেন, যার ক্ষমতা ১০০ ওয়াট ঘণ্টা (Wh) এর বেশি হওয়া যাবে না। এগুলো ওভারহেড বিন বা চেক-ইন লাগেজে রাখা যাবে না। বরং যাত্রীকে এটি সিটের নিচে, সিট পকেটে অথবা হ্যান্ড ব্যাগে বহন করতে হবে।
ফ্লাইট চলাকালীন পাওয়ার ব্যাংক থেকে ডিভাইস চার্জ দেওয়া বা পাওয়ার ব্যাংক নিজে চার্জ করাও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইল্যান্ড এভিয়েশন আরও জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট বা দুর্ঘটনাজনিত সক্রিয়তা রোধে পাওয়ার ব্যাংকগুলো মূল প্যাকেজিংয়ে রাখা অথবা টার্মিনাল অংশে টেপ লাগিয়ে অথবা সুরক্ষিত ব্যাগে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপ ছাড়াও ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ, এয়ার এশিয়া, চায়না এয়ারলাইন্স এবং টাইগার তাইওয়ান-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস তাদের বিমানে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লাইটে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ঝুঁকি কমাতে এ ধরনের নিয়ম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও জোরদার হতে পারে।
ঢাকা/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা