মালদ্বীপে পরিচালিত সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা আইল্যান্ড এভিয়েশন।

রবিবার (১৩ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রী, ক্রু এবং বিমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংক থেকে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড এবং শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কিছু নিয়ম শিথিলও রাখা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, যাত্রীরা সর্বোচ্চ দুটি পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখতে পারবেন, যার ক্ষমতা ১০০ ওয়াট ঘণ্টা (Wh) এর বেশি হওয়া যাবে না। এগুলো ওভারহেড বিন বা চেক-ইন লাগেজে রাখা যাবে না। বরং যাত্রীকে এটি সিটের নিচে, সিট পকেটে অথবা হ্যান্ড ব্যাগে বহন করতে হবে।

ফ্লাইট চলাকালীন পাওয়ার ব্যাংক থেকে ডিভাইস চার্জ দেওয়া বা পাওয়ার ব্যাংক নিজে চার্জ করাও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইল্যান্ড এভিয়েশন আরও জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট বা দুর্ঘটনাজনিত সক্রিয়তা রোধে পাওয়ার ব্যাংকগুলো মূল প্যাকেজিংয়ে রাখা অথবা টার্মিনাল অংশে টেপ লাগিয়ে অথবা সুরক্ষিত ব্যাগে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, মালদ্বীপ ছাড়াও ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ, এয়ার এশিয়া, চায়না এয়ারলাইন্স এবং টাইগার তাইওয়ান-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস তাদের বিমানে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লাইটে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ঝুঁকি কমাতে এ ধরনের নিয়ম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও জোরদার হতে পারে।

ঢাকা/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ