মহাকাশ থেকে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ওপর নজর রাখছে নাসা
Published: 11th, July 2025 GMT
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ওপর নিয়মিত নজর রাখছে নাসা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। মহাকাশ থেকে আগ্নেয়গিরির ওপর নজর রাখার মাধ্যমে নাসার বিজ্ঞানীরা আগ্নেয়গিরির ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ও পরিবর্তনের বিষয়ে বাড়তি ধারণা পাচ্ছেন।
নাসার তথ্যমতে, আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন স্যাটেলাইট ও যন্ত্র মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ল্যান্ডস্যাট ৮ ও ৯ স্যাটেলাইট আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ অবস্থা ও সেন্টিনেল-৫পি স্যাটেলাইট সালফার ডাই–অক্সাইড ও অন্যান্য আগ্নেয়গিরির গ্যাস শনাক্ত করছে। অন্য স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ছাইযুক্ত মেঘের সরাসরি ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা আগ্নেয়গিরির ছাই ও অ্যারোসলের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনবিশ্বজুড়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বাড়ার আশঙ্কা০৯ জুলাই ২০২৫নাসা জানিয়েছে, বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস জানার কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। ফলে যেসব ব্যক্তি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি বসবাস করেন বা কাজ করেন তাঁরা অনেক ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর তাই নাসা নিয়মিত বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ওপর নজর রাখছে। নাসার বিভিন্ন স্যাটেলাইট ও যন্ত্র আগ্নেয়গিরির ছাই ও সালফার ডাই–অক্সাইডের মতো গ্যাস শনাক্ত করছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগ্নেয়গিরি ও আশপাশের পরিবেশের পরিবর্তনের ওপর নজর রাখার মাধ্যমে সম্ভাব্য অগ্ন্যুৎপাত সম্পর্কে আগাম তথ্য তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়ে নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের আর্থ সায়েন্স বিভাগের প্রধান আগ্নেয়গিরিবিদ ফ্লোরিয়ান শোয়ান্ডনার জানান, আগ্নেয়গিরির পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নত করার সুযোগ আছে। এসব প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে কাজ করছে নাসা।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর নজর র ন আগ ন য গ র স য ট ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।