গুগলের ক্রোম ব্রাউজারে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ওয়েব ব্রাউজার চালু করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাউজারটি বাজারে আনতে পারে প্রযুক্তি–দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেওয়া ‘চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

ওপেনএআইয়ের তৈরি ব্রাউজারে ‘অপারেটর’ নামের একটি এআই এজেন্ট যুক্ত থাকতে পারে। এই এজেন্ট ব্যবহারকারীর হয়ে রেস্তোরাঁয় টেবিল বুক করা, অনলাইন ফরম পূরণসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। ব্রাউজারটিতে চ্যাটজিপিটির ‘নেটিভ’ ইন্টারফেস থাকায় ব্যবহারকারীদের আলাদা করে ওপেনএআইয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে হবে না; অর্থাৎ ব্রাউজার থেকেই সরাসরি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা যাবে।

ওপেনএআইয়ের এ ব্রাউজার তৈরি করা হচ্ছে গুগলের ওপেন সোর্স প্রকল্প ক্রোমিয়ামের ওপর ভিত্তি করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই গড়ে উঠেছে ক্রোম, এজ ও অপেরার মতো জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার। তবে ওপেনএআইয়ের তৈরি ব্রাউজারটি প্রযুক্তি দুনিয়ায় গুগলের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

প্রসঙ্গত, সার্চ ইঞ্জিন বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গুগলকে আংশিক বিভক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবে ক্রোম ব্রাউজারকে আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিক্রি করতে গুগলকে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। ওপেনএআইয়ের নিজস্ব ব্রাউজার উন্মোচিত হলে সার্চ ইঞ্জিন ও ব্রাউজার খাতে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র গ গল র

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হচ্ছে স্টাডি টুগেদার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে

চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টাডি টুগেদার’ নামে নতুন সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। নতুন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় শেখার সময় শিক্ষকদের মতো চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করতে পারবে। চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয় অনুযায়ী সমস্যা বিশ্লেষণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর সুবিধাটির কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওপেনএআই।

প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে স্টাডি টুগেদার সুবিধা চালু হয়েছে, তারা একে ‘ইন্টার‌অ্যাকটিভ টিউটর’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। তাঁদের মতে, স্টাডি টুগেদার সুবিধা ব্যবহারকারীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গাণিতিক বা জটিল সমস্যা বিশ্লেষণ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি উত্তর না পেয়ে নিজেরাই চিন্তা করে সমাধানে পৌঁছাতে পারে। সুবিধাটিতে প্রাচীন গ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচলিত ‘সক্রেটিস পদ্ধতি’র ছাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে ভাবতে শেখান এবং নিজেদের যুক্তির মাধ্যমে উত্তর খুঁজে বের করতে উৎসাহ দেন।

চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন জেনারেটিভ এআই টুল ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ এগুলো ব্যবহার করছেন হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্টের সহায়তা পেতে, কেউ আবার এসব টুলের অপব্যবহার করার পথ বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ওপেনএআইয়ের নতুন সুবিধাটি শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানোর একটি সহায়ক মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।

ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে চিন্তার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উৎসাহ দেওয়াই স্টাডি টুগেদার সুবিধার মূল উদ্দেশ্য। তাই প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, চ্যাটজিপিটিকে শুধু উত্তর দেওয়ার চ্যাটবট না বানিয়ে ডিজিটাল শিক্ষকের ভূমিকায়ও প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ওপেনএআই।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হচ্ছে স্টাডি টুগেদার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে