গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় আবারও উইম্বলডন ফাইনালে উঠেছেন কার্লোস আলকারাজ। ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা আজ প্রথম সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিটজকে হারিয়েছেন। ২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ব্যপ্তির ম্যাচে আলকারাজ জিতেছেন ৬-৪, ৫-৭, ৬-৩, ৭-৬ (৮/৬) গেমে।

লন্ডনের অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টের ম্যাচটির সময় তাপমাত্রা উঠেছে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গরমের কারণে কয়েকজন দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়ায় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখা হয়।

গত বছর ইউএস ওপেনে রানার আপ হওয়া ফ্রিটজ আরেকটি ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে প্রথম সেটে হারলেও দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান। তবে টানা দুবারের উইম্বলডনজয়ী আলকারাজ তৃতীয় সেটেই নিজের দাপট ফিরিয়ে আনেন। চতুর্থ সেটের নাটকীয় টাইব্রেকারে ফ্রিটজ ৪–১ থেকে ৬–৪ ব্যবধানে এগিয়ে গেলে সেই বাধাও কাটিয়ে ওঠেন আলকারাজ।

র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা আলকারাজ টানা তৃতীয় উইম্বলডন ট্রফির জন্য খেলবেন নোভাক জোকোভিচ অথবা ইয়ানিক সিনারের বিপক্ষে। তবে এখনই তৃতীয় উইম্বলডন বা ষষ্ঠ ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের কথা ভাবছেন না বলে ম্যাচ শেষে বলেছেন আলকারাজ, ‘আপাতত আমি টানা তৃতীয় ফাইনালে ওঠাটা উপভোগ করতে চাই। ফাইনাল নিয়ে ভাবার জন্য এখনো সময় আছে।’

জাকোভিচ–সিনারের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জিতে যিনিই ফাইনালে উঠুন, আলকারাজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা করতেই পারেন। সর্বশেষ দুই উইম্বলডন ফাইনালেই জোকোভিচকে হারিয়েছেন আলকারাজ। আর সিনারের বিপক্ষে ১২ ম্যাচ খেলে তিনি জিতেছেন আটটিতে।

পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই স্প্যানিশ গত এপ্রিলে বার্সেলোনা ওপেনের ফাইনালে হোলগার রুনের কাছে হারের পর থেকে টানা ২৪ ম্যাচে জিতেছেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারসেরা জয়ের ধারা। এই সময়ের মধ্যে তিনি ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে সিনারকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন। এ ছাড়া জিতেছেন রোম ওপেন, মন্টে কার্লো ও কুইন্স ক্লাবের ট্রফিও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইম বলডন আলক র জ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ