সাংবাদিক ওবায়দুল হকের চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন
Published: 12th, July 2025 GMT
প্রায় তিন যুগ ধরে সাংবাদিকতা করছেন ওবায়দুল হক (৬৫)। বর্তমানে তিনি ডেইলি অবজারভার–এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। ২০২১ সাল থেকে তিনি দুটি কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁর একটি কিডনিতে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন। কিন্তু অর্থাভাবে তিনি চিকিৎসা এগিয়ে নিতে পারছেন না।
ওবায়দুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব সামান্য সম্মানী পাই। এক ছেলে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ১৮-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। ছোট মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে। বাবা-ছেলের উপার্জন দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন। তার ওপর চার বছর ধরে আমার চিকিৎসা ও ওষুধ কেনার খরচ যোগ হইছে। মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকার ওষুধ খেতে হয়। এই ব্যয় বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডাক্তার বলতেছে, জরুরি ভিত্তিতে বাঁ কিডনির পাথর অপারেশন করে সরাতে হবে। এ জন্য ছয় লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারছি না।
এমন অবস্থায় সমাজের হৃদয়বান মানুষদের প্রতি আর্থিক সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।’ ওবায়দুল হক জানান, তাঁর ডান কিডনিটির মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ করে।
সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’