মাগুরায় শাবল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
Published: 12th, July 2025 GMT
মাগুরার শালিখা উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে সোনালী খাতুন (৩৮) নামের এক গৃহবধূকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনালী খাতুন উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের মজিদ মণ্ডলের মেয়ে। ওই গৃহবধূর স্বামীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে বিদেশ থেকে ফিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন মিজানুর। শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন তিনি। এ সময় তার স্ত্রী দশ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ঘরের ভেতরে ঘুমচ্ছিলেন। গেট খোলার জন্য স্ত্রী সোনালীকে কয়েকবার ফোন করেন মিজানুর। কিন্তু, ঘুমে থাকায় স্ত্রী বিষয়টি টের পাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং স্ত্রীকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
পাবনায় গৃহবধূ সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন মামা, সংবাদ সম্মেলনে বললেন ভাগনে
শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করিয়ে দেয়: জনতা পার্টি
পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ। দলটি বলেছে, এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
আজ শনিবার জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
জনতা পার্টি বলেছে, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক যে দ্বন্দ্বেই হোক না কেন, বিএনপির অঙ্গসংগঠনসমূহের একশ্রেণির দুর্বৃত্ত নেতা ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পৈশাচিক কায়দায় বিবস্ত্র করে পাথর মেরে মেরে হত্যা করেছেন। খুনিরা এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সময় পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠেন। এ ঘটনায় গোটা দেশবাসী স্তব্ধ ও মূক হয়ে গেছেন। এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতাচ্যুতি সত্ত্বেও একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনমানসিকতায় ফ্যাসিবাদ এখনো গেড়ে বসে আছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি খুলনায় যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে ইমামের ওপর আক্রমণ তারই প্রমাণ।
জনতা পার্টি বলেছে, সংস্কার, বিচার, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করাই এখন সময়ের দাবি। অথচ এ বিষয়ে সরকার ক্রমাগতই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।