বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং পুনর্বাসন করতে হবে।

শনিবার ( ১২জুলাই) বিকালে  তারাবো পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া রূপগঞ্জের কৃতি সন্তানসহ সকল বীর শহীদ ও আহতদের সম্মানে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 উপজেলার তারাব ও কাঞ্চন পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে  এ সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন নাসির। 

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, নারাণয়গঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুম প্রমুখ।

কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদের অধিকাংশই কোন দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। জুলাই বিপ্লবে আমাদের রূপগঞ্জের কৃতি সন্তান  শহীদ ফারহান ফাইয়াজ, শহীদ সাইফুল হাসান দুলাল ও শহীদ মাহমুদুর রহমান সোহেলসহ সকল বীর শহীদ ও আহত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তারা জাতির যোদ্ধা। তাদের আত্মত্যাগ যেন অবমূল্যায়িত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

তাদের পরিবারের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার জুলুম নির্যাতনের শিকার সকলকে মূল্যায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বৈরাচার হতে না পারে। তবেই জুলাই বিপ্লব সার্থক হবে। 

পরে শহীদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ও আহতদ র র পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫