যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া ধলগাঁমোড় থেকে স্বর্ণের ১১টি বারসহ তিন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। রোববার ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের উদ্ধার স্বর্ণের দাম প্রায় ২ কোটি টাকা। এসব স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আটকরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারকলা গ্রামের আতা এলাহী জীবন, গাজীপুরের কাশিমপুর উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানীরহাটের রামপ্রসাদ মণ্ডল।

বিজিবির যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধলগাঁ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় একটি টহলদল অবস্থান নেয়। সেখনে সন্দেহভাজন তিনজনকে তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট ও মানিব্যাগে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেন ঢাকার তাঁতীবাজারের এক চোরাকারবারীর কাছ থেকে স্বর্ণগুলো সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। একজন যশোর-নাভারন হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে এবং বাকি দুজনের যশোর-চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। 

আটকদের বিরুদ্ধে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের ও হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র স বর ণ র ব র স বর ণ র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ