দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে: সাখাওয়াত
Published: 22nd, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনের সময় এসব তথ্য তুলে ধরেন এম সাখাওয়াত।
বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে দগ্ধদের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সুচিকিৎসার নির্দেশনা দেন এম সাখাওয়াত।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির
‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দেখি বিমান মায়ের ওপর পড়েছে’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটি ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো ছিল। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকার কাজ শুরু করেছে। বিমানের ব্ল্যাকবক্স পাওয়া গেলে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনা।
শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত।
সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান। এতে পাইলটসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন, আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার তথ্য জানাচ্ছে সরকার।
তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কথা ওঠার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। সচিবালয়ে শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে সেখানকার বেশ কিছু গাড়ি।
মাইলস্টোন কলেজে শিক্ষার্থীরা ছয় দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। সেখানে দুজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/এএএম/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক