মাইলস্টোনে শতাধিক প্রাণহানির শঙ্কা জামায়াত আমিরের
Published: 22nd, July 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আমাদের ধারণা, শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যদিও এখনো এর প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি।” তিনি নিহতদের সঠিক তালিকা দ্রুত প্রকাশ করার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুরে যান জাতায়াতের আমির। সেখানে তিনি ঢাকায় জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে মারা যাওয়া জামায়াত কর্মীর কবর জিয়ারত করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতায় দোয়া করেন।
আরো পড়ুন:
দুর্নীতি মুক্ত মানবিক সমাজ দেখতে চায় জামায়াত: শফিকুর রহমান
জামায়াতের আমির খুলনায় আসছেন মঙ্গলবার
ডা.
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর দেশে অনেককে শাসন করতে দেখেছি। জনগণের কাঙ্খিত প্রতিফলন ঘটেনি। এবার দুর্নীতিমুক্ত মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে জামায়াত। অপরাধের সমস্ত কালো পর্দা খানখান করে দেশের সর্বত্র শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে সেবক হয়ে কাজ করে যাবে আমার দল।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যান জামায়াতের রংপুর মহানগরীর রোকন কৃষিবিদ শাহ আলম। আজ বিকেলে মোমিনপুর ইউনিয়নের মোক্তার পাড়ায় তার কবর জিয়ারতে আসেন ডা. শফিকুর রহমান। পরে তিনি মারা যাওয়া কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’