দেশের বাজারে সোনার দাম এবার ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৫০ টাকা। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। নতুন দর আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি আজ মঙ্গলবার রাতে সোনার দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে বিশুদ্ধ সোনার দাম বেড়েছে। এ জন্য জুয়েলার্স সমিতির সোনার দাম নির্ধারণ ও তদারকি কমিটি দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ দর বলবৎ থাকবে।

সর্বশেষ ৭ জুলাই সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা হ্রাস করেছিল জুয়েলার্স সমিতি। তাতে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিপ্রতি কমে হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা। তার আগে গত ২৩ এপ্রিল সোনার দাম বাড়ায় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায় উঠেছিল। দেশের বাজারে সেটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।

জুয়েলার্স সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হবে ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা।

দেশের বাজারে আজ রাত পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে ২২ ক্যারেট সোনায় ১ হাজার ৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ৮৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ৭৩৫ টাকা দাম বাড়ছে।

সোনার দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৭২৭ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট

এছাড়াও পড়ুন:

রয়েল টিউলিপে এনসিপি নেতাদের অবস্থান, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির

কক্সবাজারে ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টে (পুরোনো নাম রয়েল টিউলিপ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের অবস্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিবাদে সভা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, রয়েল টিউলিপে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে রয়েল টিউলিপের সামনে প্রতিবাদ সভা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছান এনসিপির পাঁচ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সার্জিস আলম, ডা. তাসমিন জারা, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। 

প্রতিবাদ সভার নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সেলিম সিরাজী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। যারা ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তারা এখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। সেই আনন্দের মুহূর্তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের এখানে প্রতিবাদে আসতে হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এনসিপির নেতারা মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। পরে ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) ৫০০১, ৫০০২ ও ৫০০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই রিসোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের স্ত্রীসহ তারা ঘুরতে এসেছেন।’’

ওই রিসোর্টের কক্ষ আগে থেকে বুকিং করা ছিল না বলেও জানান তিনি। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনসিপির পাঁচ নেতার হঠাৎ কক্সবাজার আগমনের বিষয়টি প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অবগত করা হয়নি।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে কক্সবাজারে গিয়েছেন এই পাঁচ নেতা।

এনসিপি নেতাদের বহন করে বিমানবন্দর থেকে রয়েল টিউলিপে নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক নুরুল আমিন জানান, তার গাড়িতে করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দুইজন নারী- একজন সারজিস আলমের স্ত্রী এবং অপরজন সমন্বয়ক (তাসনিম জারা) রয়েল টিউলিপে যান।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন শাহীন বলেন, “এনসিপির পাঁচ নেতা রয়েল টিউলিপে অবস্থান করছেন। তবে, এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। পুরো হোটেলে মাত্র তিনজন বিদেশি আছেন, তারা সবাই চীনের নাগরিক।”এদিকে এনসিপি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমরা এখানে পিটার হাস কিংবা অন্য কারো সাথে কোন মিটিং করিনি। এমনকি পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়নি। আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।” 
 

তারেকুর//

সম্পর্কিত নিবন্ধ