টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসী ফিরোজ আল মামুন হত্যা মামলা ও লালমনিহাটের আবু সামা হত্যা মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে র‌্যাব ১৪ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. কাওসার বাঁধন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে মির্জাপুরের মুচিরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফিরোজ আল মামুন হত্যা মামলায় জামিল ওরফে সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে কালিহাতীর মুন্সিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানার আবু সামা হত্যা মামলায় মো.

তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব কমান্ডার মেজর মো. কাওসার বাঁধন জানান, মির্জাপুরের তরফপুর গ্রামের ফিরোজ আল মামুন দীর্ঘদিন মালেশিয়ায় থাকার পর গত মার্চ মাসে দেশে চলে আসেন। গত সোমবার (২১ জুলাই) রাতে ফিরোজ আল মামুন (৪৬) তার মাসহ রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে মির্জাপুরের তরফপুর মাটিয়াঘারা গ্রামের কৃষি জমি থেকে ফিরোজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি এবিএস ফরহাদ মোল্লা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যা মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে অস্ত্রসহ ১২ মামলার আসামি সোহেল গ্রেপ্তার 

নাইক্ষ্যংছড়িতে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

অপর দিকে, গত ২৬ জুন আবু সামা জমি চাষ করার জন্য ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার সময় হাসেম আলীর (৪২) জমির আইল ভেঙে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে পরের দিন ২৭ জুন দুপুরে মামলার বাদী মো. রুবেল হোসেন বাদল (৪১), তার বাবা আবু সামা (৬০), বাদীর ছোট ছেলে স্থানীয় সানিয়াজান বাজার হতে বাড়ি ফেরার পথে হাসেম আলীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা আবু সামাসহ আহতদের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সামাকে মৃত ঘোষণা করে। 

গত ২৭ জুন এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. রুবেল হোসেন বাদল বাদী হয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার পর টাঙ্গাইল র‌্যাব ক্যাম্পের সহযোগিতায় র‌্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মাঝ রাতে কালিহাতীর মুন্সিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আবু সামা হত্যা মামলার ৩নং আসামি মো. তুহিনকে (২০) গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব কমান্ডার মেজর মো. কাওসার বাঁধন জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, সোনা মিয়াকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ফ র জ আল ম ম ন গ র প ত র কর ল লমন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ