রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী।

আইএসপিআরের পরিচালক বলেন, ‘অনেকেই না বুঝে এসব গুজবে বিশ্বাস করছেন। সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই।’

আজ বুধবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় আইএসপিআরের পরিচালক এ কথা বলেন।

আরও পড়ুনবিমান বিধ্বস্তে নিহত ৩১, আহত ১৬৫: আইএসপিআর২২ জুলাই ২০২৫

বার্তায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার পরপরই কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দিয়েছে, যেমনটি সব সময় করে থাকে। সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই। আমি ও আইএসপিআরের দল সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।’

আরও পড়ুনউদ্ধারকাজ চলাকালে অনভিপ্রেত ঘটনার তদন্ত করছে সেনাবাহিনী: আইএসপিআর১৯ ঘণ্টা আগে

আইএসপিআরের পরিচালক আরও বলেন, ‘যেকোনো গণমাধ্যম চাইলেই এ বিষয়ে (মৃত্যুর সংখ্যা) তদন্ত করতে পারে। সেনাবাহিনীসহ যে কারও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট যেকোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।’

আরও পড়ুনবিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান: আইএসপিআর২২ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ধ বস ত

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান

রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে। 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।

২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।

পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে। 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, একে৪৭সহ অস্ত্র–গোলাবারুদ উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান