ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মহেশপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ অভিযান চালায় বিজিবি।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং সামান্তা বিওপির একটি যৌথ বিশেষ টহল দল নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সীমান্ত পিলার ৫৯/৩-এস থেকে ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। সেখানকার স্থানীয় জুলু মিয়ার পাটক্ষেতের আইলের পাশে সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পায় টহলদল। তল্লাশি চালিয়ে সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় একটি বিদেশি পিস্তল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি), দুটি ম্যাগজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি (৭.

৬৫ কেএফ)। 

বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. মুন্সী ইমদাদুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালান ও অস্ত্র-গোলাবারুদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সব সময় কঠোর নজরদারি করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে সফলতা পাওয়া গেছে।

তিনি আরো জানান, জব্দ করা অস্ত্র ও গুলি আইনি প্রক্রিয়া শেষে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিলেও বিজিবির তৎপরতায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ