ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের দিন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যক্রমের জন্য নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৩ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদের সই করা ‘নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। তবে তারা গোপন কক্ষে প্রবেশ কিংবা সেখানকার কোনো ছবি তুলতে পারবেন না। এছাড়া ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করাও নিষিদ্ধ থাকবে।

আরো পড়ুন:

যদি কোনোদিন জেলে যেতে হয়, সেখানে উঁচু কমোড পাব?

এসটিভি বায়ান্নর যাত্রা শুরু

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আবেদন করে ইসি সচিবালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে পাস কার্ড, মোটরসাইকেল ও গাড়ির স্টিকার সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই নীতিমালা অনুযায়ী প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং বিদেশি সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও এই নীতিমালা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

কী করা যাবে, কী করা যাবে না
১। ভোটের সময় বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
২। পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।
৩। গোপনকক্ষের ছবি তোলায় বারণ।
৪। একসঙ্গে দুটির বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ভোটকক্ষে যাবেন না।
৫। ১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবেন না।
৬। ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
৭। ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
৮। ভোটকেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে করতে হবে।
৯। ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে; কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
১০। ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ