ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় নাসরিন সুলতানা (৪৩) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্বামী।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন সুলতানা জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামের  আমিরুল ইসলামের (৫০) স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাসরিন তার স্বামী আমিরুলের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে ভাটই বাজার থেকে আমতলা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে নাসরিন সড়কে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্বামী। তবে, তার অবস্থা গুরুতর নয়।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে পিকআপচাপায় অটোরিকশা যাত্রীর মৃত্যু

ফরিদপুরে ইজিবাইকের চাপায় শিশুর মৃত্যু

আরাপপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ