ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে ককপিটের কণ্ঠস্বর
Published: 23rd, July 2025 GMT
ভারতে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে অনেকেই আশা করেছিলেন, এবার দুর্ঘটনাটি সম্পর্কে একটা মীমাংসা হবে। গত মাসে গুজরাটে হওয়া এ দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন।
কিন্তু ১৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি জল্পনাকল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনের সংযত ভাষা সত্ত্বেও এর একটি তথ্য তদন্তকারী, উড়োজাহাজ বিশ্লেষক এবং সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাচ্ছে।
আকাশে ওঠার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১২ বছরের পুরোনো বোয়িং–৭৮৭ উড়োজাহাজের জ্বালানি সরবরাহের দুটি সুইচই (ফুয়েল-কন্ট্রোল সুইচ) হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।
ককপিটের ভয়েস রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, একজন বিমানচালক আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছেন, তিনি ‘কেন এটা বন্ধ করেছেন’। উত্তরে দ্বিতীয়জন বলছেন, তিনি বন্ধ করেননি। তবে কোন বিমানচালক কোন কথাটা বলেছেন, রেকর্ডিং থেকে তা বোঝা যায়নি। মাটি ছেড়ে উড়ে যাওয়ার সময় সহবিমানচালক উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন। আর ক্যাপ্টেন তদারক করছিলেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের (সিভিআর) ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করা হয়নি। শুধু উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার আগের মুহূর্তের একটি ভয়েস রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে।জ্বালানি সুইচগুলো পরে আবার উড়ন্ত অবস্থায় যেমন থাকে, তেমন অবস্থানে নেওয়া হয়। এতে ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবারও চালু হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় একটি ইঞ্জিন শক্তি ফিরে পেয়ে সচল হচ্ছিল। কিন্তু অন্যটি মাত্র চালু হয়েছিল, শক্তি ফিরে পায়নি। উড়োজাহাজটি এক মিনিটের কম সময় আকাশে ছিল। এরপর গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিভিন্ন অনুমাননির্ভর তত্ত্ব সামনে এসেছে। সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন পেতে এক বছর কিংবা আরও বেশি সময় লাগতে পরে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্তে পাওয়া নতুন তথ্য ককপিটে থাকা জ্যেষ্ঠ পাইলটের দিকে নজর ঘুরিয়ে দিচ্ছে।’
ইতালির সংবাদপত্র করিয়েরে দেলা সেরা দাবি করেছে, তাদের সূত্র বলেছে ফার্স্ট অফিসার (সহবিমানচালক) বারবার ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেছিলেন।
বিধ্বস্ত হওয়ার পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। গুজরাট, ভারত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র কর প রক শ র কর ড ককপ ট র ঘটন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল