সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় সাত যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের গাগলি এলাকায় দিরাই-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷ 

নিহতরা হলেন, প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী(৩৫)। তিনি জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রতুল রঞ্জন চক্রবর্তীর ছেলে। অপরজন, দিরাই উপজেলার কাদিরপুর ধল গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে হুমায়রা বেগম (৪)। 

আরো পড়ুন:

পাহাড় ধসে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

কালিয়াকৈর-মাওনা সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুপুরের দিলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাগলি এলাকায় সুনামগঞ্জগামী লেগুনার সঙ্গে দিরাইগামী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চালক প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আট যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেয়ার পর শিশু হুমায়রা মারা যায়। অন্য আহতরা চিকিৎসাধীন আছেন। 

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী দুর্ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  
 

ঢাকা/মনোয়ার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত স ন মগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ