নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বকে, জনপ্রিয়তাকে শেখ হাসিনাও ভয় করতো এবং তার যত সৈন্য-সামন্ত আছে তারাও ভয় পাইতো।

এই জন্য যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় নেতা এখন। দেশের মানুষ তার প্রতি আস্থাশীল, তার প্রতি বিশ^াসী। এই ১৬ বছরে তিনি এদেশে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তার নেতৃত্বের ধার-ভার দেখে, তার নেতৃত্বের যে দুরদৃষ্টি, এটা দেখে সারাদেশের মানুষ এখন আশায় বুক বাঁধছে যে, তারেক রহমান যদি দেশে এসে দায়িত্ব নেয় তাহলে দেশটা সুন্দর হয়ে যাবে।

ধ্বংসপ্রাপ্ত এই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আবার সে জাগিয়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। আবার মানুষকে নিয়ে তার বাপের মত পথ আগলে ধরে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়াবে, স্বপ্নের বাংলাদেশ সে গড়ে তুলতে পারবে সেই বিশ^াস সবার আছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যাচার, কটুক্তি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেই কারণেই আজকে অন্যান্য দল এখন যারা আওয়ামীলীগ পালিয়ে যাবার পর মনে করছে রাতারাতি তারা ক্ষমতায় আসবে। দিন যত যাচ্ছে তারা দেখছে তারেক রহমানের বিএনপির জনপ্রিয়তা কোন ষড়যন্ত্র করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়েও কোন কার্যকর করতে পারছে না।

সেই জন্য এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তারা বিভিন্ন প্রকার কটুক্তি করছে এবং ষড়যন্ত্র করছে। সেটা কেন? তারেক রহমানকে শেষ না করলে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। তারেক রহমানকে মানুষের কাছে হেয়-প্রতিপন্ন না করা গেলে বিএনপির সাথে নির্বাচন করে পারা যাবে না। সেই জন্য আজকে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, নিজেদেরকে যারা সুফি ভাবে, নিজেদেরকে যারা বিশুদ্ধ ভাবে, নিজেদেরকে যারা আলেম বলে, ন্যায় পরায়ন বলে, তাদের মুখে যখন খারাপ ভাষা তারা প্রয়োগ করে এবং মিথ্যা সড়যন্ত্র করে, তাদের চরিত্র যে কলুষিত হচ্ছে সেই জন্য আমার আক্ষেপ।

তাদেরকে বলি সংযত হন, আপনারা ভালো মানুষ, ভালো মানুষের মত ব্যবহার করেন, কথা বলেন। কেনো সামান্য স্বার্থে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অথবা ষড়যন্ত্র করে দেশের ক্ষতি করার জন্য এই যে মিথ্যা কথা বলছেন, অপপ্রচার করছেন এই জন্য তো গোনাগার হচ্ছেন।

এই জন্য তো আপনার চরিত্র নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন জনগনের কাছে। চরিত্র যখন হনন হয়ে যাচ্ছে সেই দিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রতিবাদ করছি, ভয়ে নয়।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন হলে আপনারা কয়টা ভোট পাবেন আর বিএনপি কয়টা পাবে, এটা আমরাও জানি, আপনারও জানেন এবং দেশবাসীও জানে। আর নিজ নিজ দলে কয়জন বিজ্ঞ ব্যক্তি আছে পার্লামেন্টে গিয়ে পার্লামেন্ট চালাবেন, দেশ চালাবেন একবার ভেবে দেইখেন।

৩০০ আসন, নারী আসন নিয়ে ৪০০ আসন। একেকেটা দলে কয়জন করে যোগ্য আছেন এমপি হওয়ার এবং দেশ পরিচালনা করার একটু চিন্তা-ভাবনা করে দেখেন। ষড়যন্ত্র করেন কি জন্য সেটাও আমরা বুঝি।

যতদিন নির্বাচনটা পিছিয়ে রাখা যাবে ততদিন জোরে-শোরে কথা বলতে পারবেন এবং প্রশাসনের কাছে গিয়ে একটু ফেবার নিতে পারবেন সেই আশায় করতেছেন। সেই জন্যই ষড়যন্ত্র করছেন। 

নাসিক ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি এসএম আসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মমতাজ উদ্দিন মন্তু, জেলা তরুন দলের সভাপতি টিএইচ তোফা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী ও জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন প্রধানসহ প্রমূখ।
         
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র স স ই জন য রহম ন র র জন য আপন র র করছ

এছাড়াও পড়ুন:

অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ

আজ শনিবার সকালে দেশের প্রধান হোসিয়ারী শিল্পের মার্কেট নগরীর নয়ামাটি এলাকায় ব্যাবসায়ী ও সাধারন মানুষের মাঝে গণসংযোগ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চারবারের সাবেক কাউন্সিলর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী  মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। 

গণসংযোগ কালে খোরশেদ ব্যাবসায়ী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যাবসা বান্ধব স্থিতিশীল রাষ্টের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।কিন্ত দেশী বিদেশী অদৃশ্য শক্তি ও পরাজিত ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।

যথা সময়ে নির্বাচন না হলে,দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে স্থিতিশীল স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে না,আইনশৃংখলা ও অর্থনীতির উন্নতি হবে না,মুদ্রাস্ফীতি না কমাতে পারলে জনগনের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

তাই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান খোরশেদ।তিনি আরো বলেন,কোন কোন উপদেষ্টা মিষ্টি কথার আড়ালে দেশী বিদেশী কুচক্রী মহলের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন,যা আমাদের কাম্য নয়।

এসময় খোরশেদ আরো বলেন,আওয়ামী দু:শাষনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর ধংস করে ফেলেছে।তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য আমাদের সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণসংযোগ কালে খোরশেদ এর সাথে অসংখ্য নেতাকর্মী ও হোসিয়ারী ব্যাবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ