নির্বাচন পিছিয়ে নেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে : গিয়াসউদ্দিন
Published: 24th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বকে, জনপ্রিয়তাকে শেখ হাসিনাও ভয় করতো এবং তার যত সৈন্য-সামন্ত আছে তারাও ভয় পাইতো।
এই জন্য যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় নেতা এখন। দেশের মানুষ তার প্রতি আস্থাশীল, তার প্রতি বিশ^াসী। এই ১৬ বছরে তিনি এদেশে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তার নেতৃত্বের ধার-ভার দেখে, তার নেতৃত্বের যে দুরদৃষ্টি, এটা দেখে সারাদেশের মানুষ এখন আশায় বুক বাঁধছে যে, তারেক রহমান যদি দেশে এসে দায়িত্ব নেয় তাহলে দেশটা সুন্দর হয়ে যাবে।
ধ্বংসপ্রাপ্ত এই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আবার সে জাগিয়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। আবার মানুষকে নিয়ে তার বাপের মত পথ আগলে ধরে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়াবে, স্বপ্নের বাংলাদেশ সে গড়ে তুলতে পারবে সেই বিশ^াস সবার আছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যাচার, কটুক্তি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেই কারণেই আজকে অন্যান্য দল এখন যারা আওয়ামীলীগ পালিয়ে যাবার পর মনে করছে রাতারাতি তারা ক্ষমতায় আসবে। দিন যত যাচ্ছে তারা দেখছে তারেক রহমানের বিএনপির জনপ্রিয়তা কোন ষড়যন্ত্র করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়েও কোন কার্যকর করতে পারছে না।
সেই জন্য এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তারা বিভিন্ন প্রকার কটুক্তি করছে এবং ষড়যন্ত্র করছে। সেটা কেন? তারেক রহমানকে শেষ না করলে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। তারেক রহমানকে মানুষের কাছে হেয়-প্রতিপন্ন না করা গেলে বিএনপির সাথে নির্বাচন করে পারা যাবে না। সেই জন্য আজকে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, নিজেদেরকে যারা সুফি ভাবে, নিজেদেরকে যারা বিশুদ্ধ ভাবে, নিজেদেরকে যারা আলেম বলে, ন্যায় পরায়ন বলে, তাদের মুখে যখন খারাপ ভাষা তারা প্রয়োগ করে এবং মিথ্যা সড়যন্ত্র করে, তাদের চরিত্র যে কলুষিত হচ্ছে সেই জন্য আমার আক্ষেপ।
তাদেরকে বলি সংযত হন, আপনারা ভালো মানুষ, ভালো মানুষের মত ব্যবহার করেন, কথা বলেন। কেনো সামান্য স্বার্থে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অথবা ষড়যন্ত্র করে দেশের ক্ষতি করার জন্য এই যে মিথ্যা কথা বলছেন, অপপ্রচার করছেন এই জন্য তো গোনাগার হচ্ছেন।
এই জন্য তো আপনার চরিত্র নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন জনগনের কাছে। চরিত্র যখন হনন হয়ে যাচ্ছে সেই দিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রতিবাদ করছি, ভয়ে নয়।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন হলে আপনারা কয়টা ভোট পাবেন আর বিএনপি কয়টা পাবে, এটা আমরাও জানি, আপনারও জানেন এবং দেশবাসীও জানে। আর নিজ নিজ দলে কয়জন বিজ্ঞ ব্যক্তি আছে পার্লামেন্টে গিয়ে পার্লামেন্ট চালাবেন, দেশ চালাবেন একবার ভেবে দেইখেন।
৩০০ আসন, নারী আসন নিয়ে ৪০০ আসন। একেকেটা দলে কয়জন করে যোগ্য আছেন এমপি হওয়ার এবং দেশ পরিচালনা করার একটু চিন্তা-ভাবনা করে দেখেন। ষড়যন্ত্র করেন কি জন্য সেটাও আমরা বুঝি।
যতদিন নির্বাচনটা পিছিয়ে রাখা যাবে ততদিন জোরে-শোরে কথা বলতে পারবেন এবং প্রশাসনের কাছে গিয়ে একটু ফেবার নিতে পারবেন সেই আশায় করতেছেন। সেই জন্যই ষড়যন্ত্র করছেন।
নাসিক ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি এসএম আসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মমতাজ উদ্দিন মন্তু, জেলা তরুন দলের সভাপতি টিএইচ তোফা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী ও জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন প্রধানসহ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র স স ই জন য রহম ন র র জন য আপন র র করছ
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।