বারান্দায় বুলেটপ্রুফ কাচ, সালমান বললেন...
Published: 24th, July 2025 GMT
গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনি, যেখানে দাঁড়িয়ে সালমান খান ঈদের মতো বিশেষ দিনে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানান, তা বহু বছর ধরেই বলিউডপ্রেমীদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান। তবে চলতি বছরের শুরুতে ভক্তদের মধ্যে হতাশা ছড়ায়, যখন দেখা যায় এই ব্যালকনিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, সালমান খানের বিরুদ্ধে চলমান হুমকির কারণেই নেওয়া হয়েছে এই সুরক্ষাব্যবস্থা। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান জানিয়েছেন, ব্যালকনিতে কাচ বসানোর পেছনে ছিল এক ভিন্ন কারণ।
‘মানুষ ঘুমিয়ে থাকত ব্যালকনিতে’
বলিউড বাবলের সঙ্গে আলাপচারিতায় সালমান খান বলেন, ‘আমি দেখতাম, কিছু মানুষ ব্যালকনিতে উঠে সেখানেই রাত কাটিয়ে দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, হয়তো আমাকে একঝলক দেখা বা দেখা করার সুযোগ পাওয়া। নিরাপত্তার স্বার্থে তাই সিদ্ধান্ত নিই, ব্যালকনিটা ঢেকে ফেলার।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য লকন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’