বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে কী শিক্ষা পেল পাকিস্তান, বললেন কোচ
Published: 25th, July 2025 GMT
শেষ দিনের হাসিটা পাকিস্তানের—গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সালমান আগার দল স্বাগতিক বাংলাদেশ দলকে হারিয়েছে ৭৪ রানে। তাতে অবশ্য সিরিজ-ট্রফির পথ এদিক-ওদিক হয়নি। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন লিটন দাসরা।
ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন টি-টোয়েন্টির এই সিরিজের মাস দুয়েক আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেও সমানসংখ্যক ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। সেবার ৩-০ ব্যবধানে জিতে ট্রফি হাতে তুলেছিলেন সালমানই। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই মাসের মধ্যে দুটি সিরিজ খেলার পর এ নিয়ে একটি মূল্যায়ন-বার্তা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় টি-টোয়েন্টি খেলে কী শিখল তাঁর দল।
মে মাসে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়া হেসন এখন পর্যন্ত দুটি সিরিজে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দুই সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনার শুরুতে লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন তিনি, ‘বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা অবস্থায় আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে গভীরতা ও প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি এমন একটি ক্রিকেট স্টাইল খেলতে হবে, যা আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ধারাবাহিকতা দিতে পারে, বিশেষ করে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে।’
মে-জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে লাহোরে খেলা তিন ম্যাচেই ভালো রান করেছিল পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০১ ও ২০১, এরপর তৃতীয় ম্যাচে ১৯৬ রান তাড়ায় ১৬ বল হাতে রেখেই জিতেছিল সালমানের দল। বিপরীতে এবার মিরপুরে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১১০, দ্বিতীয় ম্যাচে পরে ব্যাট করে ১২৫ রানে অলআউট হয়। হারে দুটি ম্যাচেই। তবে শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে তোলে ৭ উইকেটে ১৭৮, জেতেও বড় ব্যবধানে।
ঢাকায় সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারায় পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলতি মাসের ২৭ নভেম্বর আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বরাবর এ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পর প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা।
এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং পরবর্তী শীতকালীন ছুটির কারণে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী