দুঃস্বপ্ন তাহলে কখনো কখনো সত্যি হয়! দিনটা ২৫ জুলাই, ১৯৮২। হোটেল রুমে একটানা বেজে যাচ্ছিল ফোনটা। রাত ভালোই হয়েছে। অমিতাভ ফোনটা ধরলেন। ফোনের ওপারে স্মিতা পাতিলের কণ্ঠ, ‘তুমি ঠিক আছ তো?’ অমিতাভ শুরুতে রসিকতাই ভেবেছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়, মাঝরাতে এমন রসিকতার কোনো কারণ নেই। পরে স্মিতা জানালেন, অমিতাভকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখেছেন। অমিতাভ তাঁকে আশ্বস্ত করে ঘুমাতে গেলেন। কিন্তু কে জানত, সেই দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়ে ফিরে আসবে! পরদিন সেই কুখ্যাত ২৬ জুলাই। ‘কুলি’ ছবির শুটিং সেটে ঘটে গেল ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনা। পুরো ভারত তখন বসে গেল তাদের প্রিয় অভিনেতার জন্য প্রার্থনায়

‘কুলি’ সিনেমার পোস্টার থেকে। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ