মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতাদের যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি দুই দেশের নেতার সঙ্গে ফোনালাপ করছেন বলে শনিবার জানিয়েছে রয়টার্স। 

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে লিখেছেন, “কম্বোডিয়ার সাথে ফোনালাপ শেষ হয়েছে, তবে যুদ্ধবন্ধ এবং যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে থাইল্যান্ডের বক্তব্য জানতে ফোনালাপ আশা করছি। আমি একটি জটিল পরিস্থিতি সহজ করার চেষ্টা করছি!”

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে তাদের ৫০০ মাইল (৮০০ কিলোমিটার) স্থল সীমান্তের বিতর্কিত অংশ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। cবৃহস্পতিবারের থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ছোট অস্ত্র এবং রকেট হামলা হয়। থাইল্যান্ড পরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে কম্বোডিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে। তিনদিনের সংঘর্ষে দুই দেশের অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।

ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, “আমি থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি এবং এটি একটি খুব ভালো কথোপকথন ছিল। কম্বোডিয়ার মতো থাইল্যান্ডও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। আমি এখন সেই বার্তাটি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে যাচ্ছি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ব ড য

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ