মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী আহ্সান খলিল পদত্যাগ করেছেন। গত বছরের এপ্রিলে ৩ বছরের জন্য তিনি ব্যাংকটির এমডি হিসেবে যোগ দেন। তবে ১৫ মাসের মাথায় এসে তিনি আজ রোববার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সূত্র জানায়। পাশাপাশি পদত্যাগপত্রের অনুলিপি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও।

জানতে চাইলে কাজী আহ্সান খলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন পর্ষদ আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে আমাকে ছুটিতে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নিজেই পদত্যাগ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করলেই আরও অনেক কিছু জানতে পারবে।’

৩৫ বছরের কর্মজীবনে কাজী আহ্সান খলিল প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে কাজ করেছেন। তিনি মেঘনা ব্যাংকে যোগদানের আগে এনআরবি ব্যাংকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা মেঘনা ব্যাংক এমডির পদত্যাগপত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের মার্চে মেঘনা ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ারধারী পরিচালকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। যাঁদের দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এন আশিকুর রহমান। এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবার ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংকটির বেশির ভাগ শেয়ার তাঁদের হাতে। তাঁদের পর্ষদ থেকে সরিয়ে নতুন পরিচালক করা হয় শেয়ারধারী উজমা চৌধুরী ও তানভীর আহমেদকে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি হাবিবুর রহমান ও হিসাববিদ আলি আকতার রিজভীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকে উজমা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন পরিচালনা পর্ষদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ কর ছ ন ইসল ম বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি 

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির একজন উদ্যোক্তা পর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

কারণ ছাড়াই বাড়ছে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার দর

যন্ত্রপাতি কিনবে মনোস্পুল ও মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা সৈয়দ মুনসিফ আলী তার হাতে থাকা ওই ব্যাংকের ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৫টি শেয়ারের মধ্যে থেকে ৩০ লাখ শেয়ার ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারমূল্যে বিক্রি করেছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজার দরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন সৈয়দ মুনসিফ আলী।

২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৫৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৪। এর মধ্যে ৬০.৪৭ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২.৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৬.৮৭ শতাংশ শেয়ার আছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি