তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
Published: 27th, July 2025 GMT
এশিয়া কাপের আগে তিন সপ্তাহের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের কাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন জুলিয়ান উড। যিনি ক্রিকেট বিশ্বে পাওয়ার হিটার বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া একজন মনোবিদও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। স্কট খেলাধুলা, ব্যায়াম এবং মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক এবং গবেষক। জাতীয় দলের এই ক্যাম্প শুরু হবে ৫ আগস্ট থেকে। এর আগেই দুজনই বাংলাদেশে চলে আসবেন বলে জানা গেছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে।
জুলিয়ান উড বিশ্বের প্রথম পাওয়ার হিটিং কোচ। তার দাবি এরকমই। ক্রিকেটের সঙ্গে মিলিয়েছেন বেসবলের হিটিং মেথড। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতা পিএসএল, বিগ ব্যাশ, আইপিএল এবং বিপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বিপিএলে প্রথমে সিলেট সানরাইজার্সের এবং পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ হয়েছে উড। তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজের ফল পেয়েছেন স্যাম বিলিংস, লিয়াম লিভিংস্টোন, পৃথ্বী শ’র মতো পাওয়ার হিটাররা।
আরো পড়ুন:
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
এসিসি সভা: ঢাকায় পাকিস্তান প্রধান, অতিথি তালিকায় নেই ভারত!
বাংলাদেশে তার কাজ করার আগ্রহ ছিল। প্রথমবার এই সুযোগটি পেয়ে অভিভূত উড, ‘‘ফিল সিমন্সের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগস্টে আমি আসবো। তিন সপ্তাহের মতো কাজ করবে। এর আগে একাধিকবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কাজ করার সুযোগ হয়নি। এবার হচ্ছে আর কী। স্কিল এবং মানসিকতার যে মেলবদ্ধন সেটাকে এক করার চেষ্টা থাকবে আমাদের। এর আগেও ব্যক্তি পর্যায়ে কাজ করেছি আমরা। এবার পুরো দলকে নিয়েই কাজ করা হবে।’’
ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী স্কট এর আগেও বাংলাদেশে কাজ করেছেন। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের জন্য তাকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। এবার জাতীয় দলের জন্য তাকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার সঙ্গে স্থানীয় মনোবিদদের সঙ্গেও সেশন করবেন তিনি। যারা পরবর্তীতে বিসিবির বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’