বিভাগে তালা ঝুলিয়ে চুয়েটের পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
Published: 27th, July 2025 GMT
বিভাগ ও ডিগ্রির পুরোনো নাম ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এবং বিভাগের সঙ্গে চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে আবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল নয়টায় বিভাগের মূল ফটক, ক্লাসরুম এবং ল্যাবগুলোতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৫ সালে বর্তমান পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের অধীনে পুর ও পানিসম্পদ কৌশল নামে যাত্রা শুরু করে। তবে এর তিন বছর পর ২০১৮ সালে বিভাগের নাম এবং ডিগ্রি পরিবর্তন করে পানিসম্পদ কৌশল নামকরণ করা হয়। নতুন নামকরণের ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএসসহ প্রকৌশল ক্ষেত্রের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। তাই বিভাগের পূর্ব নাম ও ডিগ্রি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আন্দোলন করে আসছেন তাঁরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা আলোচনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তবে কমিটি গঠনের প্রায় তিন মাস পার হলেও কোনো সমাধান না আসায় আবারও ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক সুদীপ কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে গিয়েছে। এর সমাধানে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে। কমিটি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছে, শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে কাজ করছে। সবকিছু যাচাই–বাছাই করে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।
তিনি আরও বলেন, বারবার এভাবে বিভাগে তালা দেওয়া দুঃখজনক। এতে বিভাগের অনেক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী