বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর
Published: 27th, July 2025 GMT
জনপ্রিয় স্টাইলিস্ট জয় ক্রিজিলদাকে বিয়ে করেছেন তামিল সিনেমার অভিনেতা ও শেফ মধমপট্টি রঙ্গরাজ। বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানান অভিনেতার স্ত্রী জয়।
রবিবার (২৭ জুলাই) জয় তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, জয়কে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন রঙ্গরাজ। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রঙ্গরাজ।” হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লেখেন, “স্বামী-স্ত্রী।”
এ পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর আরেকটি ছবি পোস্ট করেন জয়। তাতে দেখা যায়, লাল রঙের শাড়িতে সেজেছেন জয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাস্যোজ্জ্বল মুখে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তারা। দুজনের গলায় শোভা পাচ্ছে ফুলের মালা। এ ছবির ক্যাপশনে জয় লেখেন, “২০২৫ সালে বেবি আসছে। আমরা অন্তঃসত্ত্বা। ৬ মাসের গর্ভকাল চলছে।”
আরো পড়ুন:
আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা
দাম বাড়ালেন জাহ্নবী!
এ পোস্ট সামনে আসার পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন রঙ্গরাজ-জয়। অনেকে এ দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন।
মধমপট্টি রঙ্গরাজ প্রথম বিয়ে করেন শ্রুতি রঙ্গরাজকে। শ্রুতি শোবিজ অঙ্গনের কেউ নন, তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। এ সংসারে তাদের দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। জয় ক্রিজিলদা বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর সরব হয়েছেন শ্রুতি। তার দাবি—“আইনত আমরা এখনো বিবাহিত।”
তামিল ভাষার ‘মেহেন্দি সার্কাস’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন মধমপট্টি রঙ্গরাজ। অভিষেক সিনেমা দিয়েই প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেতা। এরপর ‘পেঙ্গুইন’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ