জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৩-১ গোলের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচটি ছিল শুধু একটি প্র্যাকটিস গেম নয়, এটা ছিল নতুন অধ্যায়ের শুরু। কারণ, এই ম্যাচেই বার্সার হয়ে প্রথমবার মাঠে নামলেন ইংল্যান্ড তারকা মার্কাস রাশফোর্ড। তবে আসল আলো কেড়ে নিলেন দুই তরুণ নতুন সাইনিং রুনি বারদগজি ও লা মাসিয়া একাডেমির উজ্জ্বল প্রতিভা পেদ্রো ফার্নান্দেজ।

প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। ডান দিক থেকে ভেসে আসা বলে ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়ার প্রথমবারের সেভ ব্যর্থ করে ফিরতি বলে তাইসেই মিয়াশিরো গোল করে ভিসেল কোবেকে সমতায় ফেরান।

দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বার্সার। রাশফোর্ড ও দানি ওলমো সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে ম্যাচে রাশফোর্ডের প্রভাব স্পষ্ট। তার পাস থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয় গোলের জাদু। রাশফোর্ড বল বাড়ান লেভানদোভস্কিকে, তিনিও সেটআপ করে দেন ১৯ বছরের বারদগজিকে। বাঁ পায়ের জাদুতে দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান এই তরুণ।

আরো পড়ুন:

৩০ শতাংশ কম বেতনে স্বপ্নের ক্লাব বার্সায় রাশফোর্ড

ধুমধাম করে জন্মদিন উদযাপন করে তদন্তের মুখে ইয়ামাল

এরপর আসে আরেক তরুণের মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৭ বছর বয়সী পেদ্রো ফার্নান্দেজ বল পেলেন বক্সের ভেতরে, এক পা স্থির রেখে অন্য পায়ে যেন বজ্রপাত! জোরালো শটে কোনাকুনি বল জড়িয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের জালে। অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত গোল করে বার্সার সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিলেন লা মাসিয়ার এই রত্ন।

এই গ্রীষ্মে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট না থাকায়, কোচ হানসি ফ্লিক পাচ্ছেন পুরো স্কোয়াড হাতে। প্রস্তুতি ম্যাচে তাই একাদশে একসাথে ১১টি পরিবর্তন এনে সবাইকে খেলিয়ে নিচ্ছেন, যেন পুরো দল ফর্মে ফিরে আসে।

এশিয়া সফরের পরবর্তী গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে বৃহস্পতিবার এফসি সিওল এবং আগামী সোমবার দেগু’র বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। নতুন মুখ, নতুন পরিকল্পনা; সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমের আগে স্বপ্ন বুনছে কাতালান ক্লাবটি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া