পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘সীমান্তে আর কোনো হত্যাকাণ্ড-পুশইন আমরা মেনে নেব না। পারলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের, শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন। আমরা তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।’’

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে শেরপুর শহরের থানার মোড় এলাকায় এনসিপির দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেলেও আমরা এখনো দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে রয়ে গেছে। আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি, কীভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছিল।’’

আরো পড়ুন:

আবদুল হামিদ মানুষের গণতন্ত্র হত্যা করেন: নাহিদ

বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হবে: নাহিদ 

তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, গোপালগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে আমরা মুজিববাদকে দাঁড়াতে দেব না। পুলিশসহ প্রশাসনে যারা এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘‘শেরপুরে হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসাসেবা নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থা নেই, কর্মসংস্থানও নেই। শেখ হাসিনা টানা ১৬ বছর বাংলাদেশ শাসন করলেও শেরপুরের কোনো উন্নয়ন করেনি। উন্নয়ন হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দোসর, আর সন্ত্রাসীরা। যারা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পলাতক আছে।’’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন প্রমুখ।

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট আওয় ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।

ঢাকা/শরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ